বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ ততো পিছিয়ে যাবে। বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, উন্নয়ন থমকে যাবে।
নির্বাচিত সরকারের চেয়ে শক্তিশালী কোন সরকার হতে পারে না বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, এমন অবস্থা চলতে থাকলে মবোক্রেসি আরও বাড়বে। বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। নারীরা নিরাপত্তা হারাবে। এই অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজন নির্বাচিত সরকার। যাদের পেছনে জনসমর্থন আছে।
সোমবার দুপুরে নগরের পাঠানটুলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয় মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুম হওয়া নেতা ইলিয়াস আলী, সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অর সাইফুর রহমানসহ গুম হওয়া গত গত ১৭ বছরে হতাহত ও নির্যাতিত নেতাদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, হাসিনা এমনি এমনি হঠাৎ করে পালায় নি, বহু খুন, বহু কান্না বহু ত্যাগ স্বীকারে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি গতেন্ত্রের জন্য, বাক স্বাধীনতার জন্য। এখন সুন্দর ও গনতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য নতুন করে সংগ্রাম শুরু করেছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বড় বড় কথা বলে কিন্তু শেখ মুজিব বাকশাল করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলো। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিলো। সেই অবস্থা থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গনতান্ত্রিক দোশ চাই, কর্মসংস্থান, উন্নত রাষ্ট্র গঠনে ৩১ দফা বাস্তবায়ন চায় বিএনপি। ৩১ দফার মধ্যেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। বিএনপির নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
দেশ গঠন সহজে হবে না, শত্রু অনেক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে কেউ যেন অপপ্রচার চালাতে না পারে। কেউ যেনো বলতে না পারে বিএনপি খারাপ কাজ করে, চাঁদাবাজি করে, জমি দখল করে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জনগনকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ডা. এজেড জাহিদ হাসান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী, তাহসীনা রুশদীর লুনা প্রমুখ।