সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তির পাশা-পাশি বাসা বাড়ী থেকে ও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
গত ১ মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪৬০ জন রোগী। তার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।চিকিৎসকরা বলছেন এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে মে মাসের দিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে।
হঠাৎ অতিরিক্ত গরম বৃদ্ধি এবং খাবার ও পানির কারনে পানি বাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে।
প্রথম কয় দিন আক্রান্তের সংখ্যা কম হলে ও দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়া রুগীর চাপ।এতে হাসপাতলে ভর্তি হওয়া রুগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ডায়রিয়া আক্রান্ত রুগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকগন।
জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে গত এক মাসে রুগী ভর্তি হয়েছেন ৮৮০ জন এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪৬০জন।
রুগীর বেশীর ভাগই ফেনারবাক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে গত এপ্রিল মাসে ডায়রিয়া রুগী ভর্তি হয় ১৪০জন।
বর্তমানে হাসপাতালে ৪২ জন রুগীর মধ্যে ডায়রিয়া রুগী এর মধ্যে শিশুই বেশী।
জামালগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শিশু রুগী মাসমিতা বালা দেবী জানান, হাসপাতালে শিশু বাচ্চা নিয়ে ৪ দিন যাবত আছি।
হাসপাতালের ডায়রিয়া কোন স্যালাইন নেই। স্যালাইনসহ সমস্ত ঔষধ পত্র বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।এছাড়াও টয়লেটের বিরাট সমস্যা থাকায় রুগীদের টয়লেটে যাওয়া লাইন থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আব্দুল বাতেন জানান,গত মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডায়রিয়া রোগী ৪৬০জন এর মধ্যে শিশুরোগীর সংখ্যাই বেশী। গত একসপ্তাহে ১৪০জন এর বেশী ডায়রীয়া রুগী ভর্তি হয়েছে এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে ৪২জন।হাসপাতালে বর্তমানে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। যার কারণে বাহির থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। আমরা চাহিদা পত্র পাটিয়েছি। স্যলাইন পাঠালে রোগীদের স্যালাইন নিয়ে ভোগান্তি থাকবে না। অতিরিক্ত গরমে বিশুদ্ধ পানি পান না করার কারনে সমস্যা হচ্ছে। বেশী করে খাবার সেলাইন ও নরম জাতিয় খাবার খেতে হবে।বাহিরের খাবার না খাওয়াই উত্তম।