বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

শ্রমীক লীগ নেতা জাকারিয়ার ৫ মামলায় জামিন, সিলেট বিএনপির গভীর উদ্বেগ

সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমদ গ্রেফতারের মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে একই দিনে পাঁচটি মামলায় জামিন পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।


উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল (সোমবার) রাত ১১টার দিকে সিলেট মহানগরের মদিনা মার্কেট এলাকার নিজ বাসা থেকে মো. জাকারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হামলা চালানোর ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনের ছয়টি মামলায় নাম উল্লেখ করে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। প্রত্যেক মামলাতেই ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডযোগ্য অভিযোগ রয়েছে।

 

এই সেই ‘আওয়ামী ডেভিল’ জাকারিয়া আহমদ—যিনি অতীতে বিরোধী দল কোন সমাবেশ আহ্বান করলেই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন, আবার হরতাল-অবরোধে জোরপূর্বক যানবাহন চালু রাখতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মালিক শ্রমিকদের বাধ্য করেছেন। আজ সেই ব্যক্তি অভাবনীয় দ্রুততায় একসাথে এতগুলো মামলায় জামিন পাওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।একই ধরনের মামলায় আপাত দৃষ্টিতে ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন আচরণ আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে না মর্মে আশঙ্কা বিরাজমান। 

 

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি মনে করে, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মনগড়া মামলাগুলোতে জামিন নিতে মাসের পর মাস লড়তে হয়েছে; এমনকি উচ্চ আদালত থেকেও বারবার জামিন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। অথচ আওয়ামীপন্থী ব্যক্তি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় জামিন লাভ করায় বিচারিক স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

 

এছাড়া, একজন ডেভিলখ্যাত আওয়ামী নেতার গ্রেফতারে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট পালিত হওয়াও প্রমাণ করে, অবৈধ সিন্ডিকেট এখনো কিভাবে প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় সক্রিয় রয়েছে। জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ এইসব অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একদিন বিস্ফোরিত হবেই—তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি অনিবার্য। 

 

এমতাবস্থায়, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি জনাব আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী যৌথভাবে অনতিবিলম্বে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রশাসনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। 

এই সম্পর্কিত আরো