চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং প্রায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। রোববার দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মামলাটি করেন প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে তাঁর ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এর বিপরীতে তাঁর কোনো দায়-দেনার তথ্য দুদক পায়নি। কিন্তু আয়কর নথি পর্যালোচনায় ফজলে করিমের ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬০ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পেয়েছে দুদক। আয়কর দেওয়া বৈধ সম্পদের চেয়ে তাঁর অর্জিত সম্পদ প্রায় ৬ কোটি টাকা বেশি পাওয়া গেছে। যেগুলো তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জন এবং ভোগদখল করেছেন।
এ ছাড়া, ফজলে করিমের বিরুদ্ধে ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা জমা এবং ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
দুদকের চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে ১২টি ব্যাংক হিসেবে এ অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে ফজলে করিম চৌধুরী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারতে পালানোর সময় গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। ফজলে করিম চৌধুরী টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন।