বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত ৪, আহত ছাড়াল ৬০০

ইরানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্দর শহীদ রাজায়ী বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত নিহত ৪ এবং ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ত্রাণ ও উদ্ধার শাখার প্রধান বাবাক মাহমুদী ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, উদ্ধারকর্মীরা অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজার কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত শহীদ রাজায়ী বন্দরে বিস্ফোরণে অন্তত ৬১৬ জন আহত হয়েছেন। হরমুজগান প্রদেশের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সংস্থার পরিচালক মেহরদাদ হাসানজাদেহ জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এর আগে এই বন্দর পরিদর্শন করে সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন।

এখনো এ বিস্ফোরণের কারণ অজানা। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ঘটনাস্থলে দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, তেহরান টাইমস জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি কনটেইনার বিস্ফোরণ ছিল এ ঘটনার মূল কারণ।

ন্যাশনাল ইরানিয়ান ওয়েল প্রোডাক্টস রিফাইনিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে বন্দর এলাকার তেল স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোম্পানিটি বলেছে, শহীদ রাজায়ী বন্দরের বিস্ফোরণ ও আগুনের সঙ্গে এই কোম্পানির পরিশোধন কেন্দ্র, জ্বালানি ট্যাংক, বিতরণ কমপ্লেক্স এবং তেল পাইপলাইনের কোনো সংযোগ নেই।

এর আগে, হরমুজগান বন্দর ও মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কর্মকর্তা ইসমাইল মালেকিজাদেহ জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণটি শহীদ রাজায়ী বন্দরের ডকের কাছে ঘটেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বিস্ফোরণের পর বন্দর এলাকা থেকে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও আগুনের গোলা উঠতে দেখা গেছে। অন্যান্য ভিডিওতে ভবন ও যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতিও দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নিরাপত্তা ও জরুরি সেবাদানকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শহীদ রাজায়ী বন্দর থেকে মূলত কনটেইনার পরিবহন করা হয়ে থাকে। তবে এখানে তেলের ট্যাংক ও অন্যান্য পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই একই বন্দরে একটি বড় সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলায় বন্দরের কম্পিউটার সিস্টেম বিকল হয়ে কয়েক দিন পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

এই সম্পর্কিত আরো