পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ও পর্তুগাল - বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দীন পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় জানান, ২০২৩ সালে পর্তুগালে অনুষ্ঠিত “জেএমজে” সম্মেলনে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল। উচ্চ প্রোটোকলের সেই সাক্ষাৎ স্মরণ করে তিনি বলেন, “তার অল্প কথাতেই বোঝা গিয়েছিল, তিনি কত বড় মনের মানুষ ছিলেন। স্রষ্টা তাঁদেরকেই মানুষের প্রতিনিধি করেন, যারা সেই ভার বহনের যোগ্যতা রাখেন।”
রোমান ক্যাথলিক চার্চের ২৬৬তম পোপ ফ্রান্সিস আজ ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তার মৃত্যুতে বিশ্বের কোটি কোটি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের মানুষও শোকাহত—কারণ পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন মানবতার এক উজ্জ্বল বাতিঘর।
২০১৩ সালে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত হন পোপ ফ্রান্সিস। গত ১০০০ বছরে তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ইউরোপের বাইরের কোনো অঞ্চল থেকে পোপ নির্বাচিত হন। আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া এই পোপ তার সারা জীবনের কর্মকাণ্ডে ছিলেন দরিদ্র, নিপীড়িত ও প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠস্বর।
পোপ ফ্রান্সিস তার নেতৃত্বকাল জুড়ে সামাজিক ন্যায়বিচার, মানব মর্যাদা এবং বৈশ্বিক শান্তির পক্ষে অবিচল ছিলেন। তিনি শুধু ক্যাথলিকদের নয়, সারা বিশ্বের মানুষের কাছে হয়ে উঠেছিলেন নৈতিক সাহস ও মানবিকতার প্রতীক। তিনি ছিলেন পরিবেশের নির্ভীক রক্ষক, সংহতির প্রবক্তা, এবং বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দৃঢ় সমর্থক।
তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে আমরা ক্যাথলিক চার্চ, পর্তুগিজ ক্যাথলিক সম্প্রদায় এবং ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর আধ্যাত্মিক ও সামাজিক অবদান ইতিহাসে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।