মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি অনুমোদন

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামী রবিবার এই চুক্তি কার্যকর হবে।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বুধবার ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার দুই দিন পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'রাজনৈতিক, নিরাপত্তা এবং মানবিক দিকগুলো পর্যালোচনা করার পর এবং যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে চুক্তিটি সহায়ক হবে বলে নিশ্চিত হওয়ার পরই এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে শুক্রবার ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসবে। নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যেই চুক্তির পক্ষে রায় দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ণ মন্ত্রিসভাও এতে সম্মতি দেবে। এতে চুক্তি বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।'

শুক্রবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহুর অফিস জানায়, যদি চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদন পায়, তবে রবিবার হামাস প্রথমে বন্দিদের মুক্তি দেবে।

বুধবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেয়।

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এই চুক্তিকে 'সঠিক পদক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দ্রুত এটি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, চুক্তি নিয়ে এখনও কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে, যা মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে। তবে এসব সমস্যার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, চুক্তির বিরোধিতা করে অতি-ডানপন্থী মন্ত্রীরা আপত্তি জানিয়েছেন।

একজন মন্ত্রী এ চুক্তি অনুমোদিত হলে পদত্যাগ করার হুমকিও দিয়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, চুক্তি কার্যকর হলে রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি থাকবে। এর মধ্যে গাজায় আটক ৩৩ জন জিম্মি এবং ইসরায়েলে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

পাশাপাশি, ইসরায়েলি সেনা আংশিকভাবে গাজা থেকে সরবে এবং অবরুদ্ধ উপকূলীয় এলাকায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের সংঘাতের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে চুক্তিটি করা হয়েছে। ওইদিন হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণ চালায়। এতে প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনকে বন্দি করা হয়।

এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এই সম্পর্কিত আরো