কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে ভারতীয় অংশে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পড়ে আছে আব্দুর রহমানের (৩০) নামে বাংলাদেশি এক যুবকের লাশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ওই সীমান্তের ১৩৩৯ নম্বর পিলারের কাছে গুলিতে তিনি মারা যান বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে তিন দফা পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সর্বশেষ পতাকা বৈঠক শেষে বিএসএফ জানায়, নিহত আব্দুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
নিহত আব্দুর রহমান (৩০) কানাইঘাট উপজেলার আটগ্রাম বড়চাতল (বাকুরি) গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন শুক্রবার বিকেলে চোরাচালানের মহিষ আনতে ডোনা সীমান্তের ওই এলাকায় যান।
ঘটনার পরপরই ডোনা সীমান্ত ক্যাম্পের বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং নিহতের লাশ ফেরতের দাবি জানায়। প্রথমে বিএসএফ আশ্বাস দিলেও পরে আইনগত জটিলতার অজুহাতে লাশ হস্তান্তর থেকে বিরত থাকে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, লাশ গ্রহণের জন্য পুলিশ সীমান্তে অবস্থান নিলেও বিএসএফ তা ফেরত না দেওয়ায় তারা রাতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।