চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত, অবকাঠামো বেদখল হওয়ার শঙ্কা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট বাল্লা স্থল বন্দরের অপারেশন কাযক্রম স্থগিত করল সরকার। এই প্রকল্পে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার। পুরো টাকাটাই এখন লোকসান গুণতে হবে।
এদিকে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করায় এখানকার স্থাপনা বেদখল হয়ে পরার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাট বাল্লা স্থল বন্দর। কিন্তু বন্দরটি কাজে আসেনি। দুই বছর ধরে পরে থাকায় বন্দরটি গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। অপচয় হয়েছে সরকারি টাকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম বৈঠকে বাল্লা স্থল বন্দরের অপারেশন কাযক্রম স্থগিত রাখার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, মূলত নিজের এলাকার মানুষকে খুশি করতে এবং লুটপাটের জন্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী, এমপি ও প্রভাবশালী আমলা হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের তৎকালিন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মধাব রায়ের তদবিরে বাল্লা শুল্ক ষ্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষনা দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কেদারাকোট গ্রামে স্থল বন্দর নির্মাণ করা হয়। এ সময় স্থল বন্দর নির্মাণের জন্য প্রায় ১৩ একরন জমি অধিগ্রহন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ স্থল বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হয়। বন্দরের স্থাপনা নির্মাণ কাজের ব্যয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বিপরীতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়মুড়ায় বন্দর স্থাপন করেনি ভারতীয় কতৃপক্ষ। তখন থেকেই বন্দরের ভবিষৎ নিয়ে স্থানীয়দের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছিল।
চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, সরকার এ বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করায় এটি অরক্ষিত হয়ে পড়বে। সরকারকে এখনই এর অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বাল্লা স্থল বন্দর যাতে বেদখল না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।