শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

১২ ঘন্টায় ৯০ ট্রাক পাথর গেলো সাদাপাথরে, আরও ৬০ হাজার ঘনফুট জব্দ

শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ১২ টায় সিলেট সদর উপজেলা থেকে কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথরে ৯০ ট্রাক পাথর পাঠানো হয়েছে। এই পাথরগুলোর মধ্যে কিছু অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয়েছে এবং কিছু ব্যবসায়ীরা ফেরত দিয়েছেন।

এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ।

তিনি জানান, গত রাত থেকে রোববার ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোট ২৫১ টি ট্রাকে তল্লাশি চালানো হয়। এরমধ্যে ৭ টি বাদে সব কটি ট্রাকে এলসি পাথর থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া রোববার দুপুর ১ টায় সদর উপজেলার লালবাগের ঝুমুর ক্রাশার ও শাহজালাল ক্রাশার মেশিনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  সে সময় ঝুমুর ক্রাশার এ প্রায় ১০ হাজার ঘন ফুট এবং শাহজালাল ক্রাশার মেশিনে প্রায় ৫০ হাজার ঘন ফুট পাথর জব্দ করা হয় এবং স্থানী ওয়ার্ড সদস্যের জিম্মায় দেয়া  হয়।

এসি ল্যান্ড জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৯০ ট্রাকে করে পাথর ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরে পাঠানো হয়েছে।

এরআগে শনিবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ উদ্যোগে, নিজে খরচে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এ সময়ের পর কারো কাছে সাদাপাথর পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়।

শনিবার এ ব্যাপারে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে শনিবার কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট  উপজেলায় মাইকিংও করা হয়।

সিলেটের ডিসি সারোয়ার আলম জানান, এখনো কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায় কিছু পাথর অনেকে লুকিয়ে রেখেছেন। এসব পাথর উদ্ধারে শনিবার এ দুই উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। সভাশেষে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যার মধ্যে রয়েছে- মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে যাদের কাছে এখনো সাদাপাথর আছে তারা নিজ খরচে, নিজ উদ্যোগে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় পৌঁছে দেবেন। যেহেতু জনপ্রতিনিধিরা সরকারের অংশ তাই এ পাথর উদ্ধারে তাদেরও দায় রয়েছে। যার যার এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে পাথর ভোলাগঞ্জে পৌঁছানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন তারা।

ইতোমধ্যে এ দুই উপজেলায় মাইকিং করে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এই সময়ের পর যার কাছে সাদা পাথর পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি নির্ধারিত সময়ের পর যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর পাওয়া যাবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সারোয়ার আলম।

এই সম্পর্কিত আরো