বন্ধ থাকা সিলেটের কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পরিচালক, বিএমডি (যুগ্ম সচিব) মো. ছরোয়ার হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় তিনি লোভাছড়া পাথর কোয়ারী এলাকায় মজুদকৃত পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জব্দকৃত পাথর এবং সম্প্রতি নিলামকৃত ৪৫ লক্ষ ঘনফুট পাথরের স্তুপগুলো পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি গাড়ী নিয়ে এবং পায়ে হেটে কোয়ারীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং এলাকার সর্বস্তরের লোকজন দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ হওয়া লোভাছড়া পাথর কোয়ারী খোলে দেয়ার জন্য বিক্ষোভ মিছিল করে দাবী জানান।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পরিচালক, বিএমডি (যুগ্ম সচিব) মোঃ ছরোয়ার হোসেন কোয়ারী এলাকার পরিদর্শনকালে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবি লোকজন জানান, কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা সহ বৃহত্তর দরিদ্র জনগোষ্টীর কর্মসংস্থানের একমাত্র জীবিকা নির্বাহের পথ ছিল লোভাছড়া পাথর কোয়ারী। যুগ যুগ ধরে কোয়ারী থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করে এলাকার মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। কোয়ারী বন্ধ থাকার কারনে হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমতাবস্থায় সরকারের সম্প্রতি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, লোভাছড়া পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবী জানান। ব্যবসায়ীরা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর পাথর ব্যবসায়ীদের উত্তোলনকৃত পাথর জব্দ করলেও সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে ব্যবসায়ীরা জব্দকৃত পাথর পাচার বা অন্যত্র সরিয়ে নেননি। জব্দকৃত পাথরগুলো কোয়ারী এলাকায় আগেরমতো রয়েছে।
পাথর ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে যুগ্ম সচিব ছরোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার কোয়ারীগুলো খুলে দেয়ার জন্য অত্যন্ত আন্তরিক। তবে কোয়ারী এলাকার পরিবেশের ক্ষতি না হয় তার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কোয়ারী এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সচিব মোঃ ছরোয়ার হোসেন বলেন, নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আজ আমি লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পরিদর্শন করেছি। কোয়ারীতে রাখা জব্দকৃত পাথরের মধ্যে নিলামকৃত ৪৫ লক্ষ ঘনফুট পাথর নিলাম গ্রহণকারীকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। বিষয়টি দেখার জন্য এসেছি টেন্ডারের শর্ত মেনে নিলামকৃত পাথর সরিয়ে নেয়ার পর লোভাছড়া পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া হবে কি না তা সিদ্ধান্ত নিবে সরকার। কোয়ারী খুলে দেয়ার জন্য স্থানীয় মানুষের দাবীর বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ ভাবে বিবেচনা করছি, কোয়ারী খুলে দিলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারও লাভবান হবে। কোয়ারী এলাকায় রাখা জব্দকৃত পাথর দেখভাল এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের কাজের সন্তোষ্টি জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল, উপজেলা ভ‚মি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।