রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
রাজধানীতে আ.লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি, তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, কোনো শক্তি ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণর ফেডারেশন ৩৮ নং ওয়ার্ডের জনশক্তি সমাবেশ সম্পন্ন বড়লেখায় কলেজ শিক্ষর্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সালমান শাহ - মৃত্যুর ২৯ বছর পরও যিনি তুমুল জনপ্রিয়, আজও ফ্যাশন আইকন ছেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটার, বাবা করেন গার্ডের চাকরি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কুলাউড়ায় উপজেলা প্রশাসনের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন সিলেটে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
advertisement
আন্তর্জাতিক

ফোনকল ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। কম্বোডিয়ার সাবেক নেতার সঙ্গে তার একটি ফোনকলের রেকর্ড ফাঁস হয়েছিল। এরপর তার পদ স্থগিত করেছিল আদালত। আজ শুক্রবার পেতোংতার্নকে ক্ষমতা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পেতোংতার্ন ২০২৪ সালের আগষ্টে দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পরই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন তিনি। সদ্য সাবেক এ নারী থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য।

ফাঁস হওয়া সেই ফোনকলে তাকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলতে শোনা যায়। ওই সময় তিনি তার নিজ দেশের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে বলেন, তার সেনাদের কারণেই কম্বোডিয়ার এক সেনার প্রাণ গেছে।

তার এ ফোনকলের রেকর্ড ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর কয়েকমাস পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও শুরু হয়েছিল। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থেমেছিল।

গত ১৫ জুনের ওই ফোনকলে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পেতোংতার্নকে আরও বলতে শোনা যায় ‘যে কোনো কিছু চাইলে, আমাকে বলবেন। আমি বিষয়টি দেখব।’ তার এ কথাটি নিয়েই মূলত বেশি সমালোচনা শুরু হয়।

ফোনকলটি ফাঁস হওয়ার সময় দুই দেশের সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ওই সময় থাইল্যান্ডের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদও প্রচণ্ডরকমভাবে দেখা যাচ্ছিল। তখনই ফোনকলটি সামনে আসে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে পেতোংতার্ন গোপনে থাইল্যান্ডের স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছেন।

এরপর তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চান। তিনি দাবি করেন, কম্বোডিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল হিসেবে তিনি এভাবে কথা বলেছিলেন।

এখন দেশটির আইনপ্রণেতারা যদি একমত হন তবে নতুন একটি সরকার গঠন করতে পারেন। তা সম্ভব না হলে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

সূত্র: সিএনএন

এই সম্পর্কিত আরো