পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ভাতিজা ও আলিমা খানের ছেলে শেরশাহকে ১৪ দিনের বিচারিক রিমান্ডে কারাগারে পাঠিয়েছেন লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)। বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানির পর বিচারক মনজার আলী গিল এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
এর আগে ২২ আগস্ট শেরশাহকে গ্রেফতার করা হয়। তার একদিন আগে ইমরানের আরেক ভাতিজা শাহরেজ খানকে গ্রেপ্তার করা হয় জিন্নাহ হাউস হামলা মামলায়। শেরশাহকে প্রথমে পাঁচ দিনের শারীরিক রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
মে ৯ সহিংসতা ২০২৩ সালে ইমরান খানের গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সামরিক স্থাপনা ও সরকারি ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে লাহোরের জিন্নাহ হাউস হামলা অন্যতম আলোচিত ঘটনা।
শেরশাহকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে পুলিশ তার ৩০ দিনের শারীরিক রিমান্ডের আবেদন করে। পুলিশ দাবি করে, হামলার সময় শেরশাহকে ইমরানের আরেক ভাতিজা হাসান নিয়াজির সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে।
তবে শেরশাহর আইনজীবী সালমান আকরাম রাজা বলেন, শুধু ভিডিওতে উপস্থিত থাকা কোনো অপরাধের প্রমাণ নয়। উভয়পক্ষের যুক্তি শোনার পর আদালত ১৪ দিনের বিচারিক রিমান্ড মঞ্জুর করে।
শেরশাহ ও শাহরেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা মে ৯ সহিংসতায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ‘রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা’ চালিয়েছেন। জিও নিউজের সূত্র জানায়, শেরশাহ হামলার পর প্রায় দুই বছর লন্ডনে আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, পুলিশের গাড়ি পোড়ানো এবং দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রবিরোধী ডিজিটাল প্রচারণা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।