মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
সুবিপ্রবি নির্ধারিত জায়গায় দ্রুত স্থাপনের লক্ষে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর স্বারকলিপি খুনী হাসিনা বিদেশে পালিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন : কাইয়ুম চৌধুরী মাওলানা হাবিবুর রহমান - জামায়াত একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে সিলেটের টিলা কাটা বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে প্রশাসন সিলেটে সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ নেপালের সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ মির্জা ফখরুল - যারা ভাবছেন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটালে উপকৃত হবেন, ভুল করছেন জনগণই বিএনপির শক্তির একমাত্র উৎস : তারেক রহমান সত্যিই প্রেম করছেন শ্রীলীলা? অসুস্থ যুবদল নেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
advertisement
আন্তর্জাতিক

রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ

১১ আগস্ট সকালে দিল্লির রাজনৈতিক আবহাওয়া যেন হঠাৎই উথাল-পাথাল। সংসদ ভবনের মকর দ্বার থেকে শুরু হয় ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের ঐক্যবদ্ধ মিছিল, গন্তব্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর। উদ্দেশ্য—বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হওয়া, যা বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী বিহারসহ কয়েকটি রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রথম সারিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সঞ্জয় রাউত, শশী থারুর—আরও ৩০-এর বেশি সাংসদ। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই দিল্লি পুলিশ সংসদ ভবনের কাছেই ব্যারিকেড তুলে মিছিল থামানোর চেষ্টা করে। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, সহকর্মীরা তাকে সামলে নেন। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যান—সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

কিন্তু পুলিশি বাধা সেখানেই থেমে থাকেনি। রাহুল, প্রিয়াঙ্কাসহ ৩০-এর বেশি সাংসদকে গ্রেফতার করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর ছড়াতেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া। দুপুর নাগাদ অবশ্য সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সংসদে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী। গলায় ক্ষোভ ও চ্যালেঞ্জের সুর—ভারতের গণতন্ত্রের অবস্থা দেখুন—৩০০ সাংসদ নির্বাচন কমিশনে নথি জমা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ভয় পেয়ে আমাদের আটক করা হয়েছে। এটা আর রাজনৈতিক লড়াই নয়, এটা সংবিধানের লড়াই।

তিনি ‘ওয়ান ম্যান, ওয়ান ভোট’-এর মৌলিক নীতি তুলে ধরে বলেন, “সত্য বলার জন্য শপথপত্র লাগে না”—ইঙ্গিত স্পষ্ট, নির্বাচন কমিশনের দাবিকৃত শপথপত্রে সই করবেন না।

কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা অশোক গেহলটও শপথপত্র প্রসঙ্গে এটিকে “অযৌক্তিক” বলে আখ্যা দেন। অন্যদিকে, অখিলেশ যাদবের কণ্ঠে ছিল সরাসরি অভিযোগ—ভোটার তালিকার এই কারচুপি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

মহুয়া মৈত্র স্পষ্ট বার্তা দেন, “বিরোধী কণ্ঠ রোধ করতে এই আটক—কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাব না।

ইন্ডিয়া জোটের দাবি, SIR প্রক্রিয়ার আড়ালে নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সরাসরি হুমকি। যদিও নির্বাচন কমিশন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে, বিরোধীরা জানিয়ে দিয়েছে—সংসদ হোক বা রাজপথ, লড়াই থামবে না।

১১ আগস্টের এই নাটকীয় দিন শেষ হলেও এর রাজনৈতিক অভিঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে চলেছে। আটক, মুক্তি এবং সংসদে ফিরে আগুনঝরা বক্তৃতা—সব মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিবাদ কার্যক্রম নতুন মাত্রা পেয়েছে। আর রাহুল গান্ধীর এই অবস্থান যে বিরোধী শিবিরকে আরও উজ্জীবিত করবে, তা বলাই বাহুল্য।

এই সম্পর্কিত আরো

সুবিপ্রবি নির্ধারিত জায়গায় দ্রুত স্থাপনের লক্ষে বৃহত্তর সুনামগঞ্জবাসীর স্বারকলিপি

খুনী হাসিনা বিদেশে পালিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন : কাইয়ুম চৌধুরী

মাওলানা হাবিবুর রহমান জামায়াত একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে

সিলেটের টিলা কাটা বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে প্রশাসন

সিলেটে সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ

নেপালের সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

মির্জা ফখরুল যারা ভাবছেন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটালে উপকৃত হবেন, ভুল করছেন

জনগণই বিএনপির শক্তির একমাত্র উৎস : তারেক রহমান

সত্যিই প্রেম করছেন শ্রীলীলা?

অসুস্থ যুবদল নেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান