২০২৪ সালের ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সানি আহমদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আহাদ উরফে নুর সহ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গোলাপগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের চৌমূহনীর নূর ম্যানশনের সামনে উপজেলা ও পৌরবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিহত সানি আহমদ ছিলেন উপজেলার শিলঘাট গ্রামের কয়সর আহমদের ছেলে। তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা কয়সর আহমদ বাদী হয়ে ৬০ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে মামলাটি এফআইআরভুক্ত হয়। উক্ত মামলার এজাহারে গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌঘরি গীর্দ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আহাদ উরফে নুর মিয়াকে ৬ নম্বর আসামী করা হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত আহাদ মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বাদী, তার পরিবার এবং মামলার সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছেন।
তারা আরও বলেন, অভিযুক্ত আব্দুল আহাদসহ নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অথচ অভিযুক্ত আহাদ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আহাদসহ সকল হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
ব্যবসায়ী ও শালিস ব্যক্তিত্ব আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এবং আফজল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন নিহত সানি আহমদের পিতা কয়সর আহমদ, চাচা আজমল হোসাইন, এবং মামা বিয়ানীবাজার বিএনপি নেতা আলী আব্বাস। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, উক্ত প্রতিবাদ সভা সফল করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে এবং সভা চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত আহাদকে গ্রেফতারের দাবিতে গোলাপগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ী ও উপস্থিত লোকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে ছাত্র-জনতার হত্যাকারী আবদুল আহাদসহ সকল আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।