প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
মন্ডপে মন্ডপে বিদায় ও বিষাদের ধ্বনি বাজছে। চার দিনের অনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনে মর্ত্য লোক বিদায় নিলেন দেবি দূর্গা।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে উপজেলার ছনোয়ার হাওড়ে শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন। বিসর্জন কে ঘিরে পুলিশ আনসার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
এরআগে দুপুর দুইটা থেকে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে শুরু হয় শঙ্খ আর উলুধ্বনি। খোল, কর্তাল আর ঢাকঢোলে সনাতন দেবি বাজনার মধ্য দিয়ে দেবি বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে প্রতিমা নিয়ে একে একে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ থেকে আসে ছনোয়ার হাওর পাড়ে। বিকেল ৪টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জ্জনের সময় বেঁধে দিয়েছে উপজেল প্রশাসন। এবছর জামালগঞ্জ উপজেলায় ৫১টি প্রতিমা বিসর্জ্জন দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জ্জন দেয়া হয়েছে হাওরে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবছর সুরমা নদীতে বিসর্জন কম হয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমরেন্দ্র আচার্য্য শম্ভু জানান, এবছর উপজেলায় ৫১ টি পূজা মন্ডপে উৎসব মূখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিশেষ করে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর নজরদারি ছিলো প্রতিটি মূহুর্ত। উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এবছর জামালগঞ্জ উপজেলায় ৫১ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের পোশাক ও সাদা পোশাকে সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রেখেছে।