সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার পর মঙ্গলবার দিবাগত (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে দুপক্ষের সমঝোতা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মাঝে সমঝোতা হয়। ফলে মারামরির ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।
এর আগে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মহানগরের সোবহানীঘাটস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালের শাখা রণক্ষেত্র হয়ে উঠে। এসময় হাসপাতালটির স্টাফরা নিহতের স্বজনদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালান এবং বেধড়ক মারধর করেন। তবে এর আগে নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের নার্স ও স্টাফদের উপর হামলা এবং হাসপাতালটিতে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান।
খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে সেনাবাহিনীর টিমও সেখানে যায়।
জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর সিলেট এয়ারপোর্ট সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন গোলাপগঞ্জের তানিম আহমদ এক নামের এক যুবক। তাকে প্রথমে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ১২ দিন আগে সেখান থেকে তাকে সিলেট মহানগরের সোবহানীঘাটস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করেন স্বজনরা। মঙ্গলবার বিকালে তিনি মারা যান।
তানিমের স্বজনরা অভিযোগ করেন, চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসা-ব্যবস্থা নিয়েও কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ইবনে সিনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তানিমের স্বজনরা ইবনে সিনা হাসপাতালের ডিউটি চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের উপর হামলার চেষ্টা করেন। ভাঙচুরেরও চেষ্টা করেন সেখানে। পরে হাসপাতালটির স্টাফরা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে নিহতের স্বজনদের উপর চড়াও হন এবং হামলা চালিয়ে তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। এসময় নিহতের ৫ স্বজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।