সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দরিদ্রদের মধ্যে ন্যয্যমূল্যে বিক্রির সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের নিজগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী রাজদর মিয়ার দোকানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রায় ৩৫ বস্তা চাল দেখতে পান। পরে এর ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ব্যবসায়ী রাজদর মিয়া আটগাঁও ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার হাফিজুর মিয়ার কাছ থেকে এই চাল প্রথমে ক্রয় করেছেন বলে জানান। পরে আবার বলেন এই চাল ভোক্তাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা একেকজন একেক রকম বক্তব্য প্রদান করছেন। কেউ কেউ বলছেন রাজদর মিয়ার দোকানে ভোক্তারা চাল বিক্রি করেছে। আবার অনেকেই এই বিষয়টি মানতে চাইছেন না, তাঁরা বলছেন, প্রায় ৩৫ বস্তা চাল-ই ভোক্তারা বেছে দিবে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাঁরা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ডিলার হাফিজুর মিয়ার মোবাইলফোনে বার বার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। পরে ওই ফোন নাম্বারে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক খাদ্য কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। দোকানে প্রায় ৩৫টি চালের সাদা বস্তা দেখতে পাওয়া গেছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে এ পর্যন্ত যতটুকু জানতে পেরেছি, যারা উপকারভোগী আছে তারা হয়তো বিক্রি করে থাকতে পারে। তবে এ ঘটনায় ডিলারের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।