বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

জামালগঞ্জে হাওর ডুবায় নজর কাড়ছে কচুরিপানার ফুল

সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় কচুরিপানা ফুলের চাদরে ঢেকে আছে খাল, বিল, পুকুর, ডুবা ও জলাশয়গুলো। এসব স্থানে যেখানে দৃষ্টি যায় দেখা যায় ফুটে উঠেছে কচুরিপানার ফুল। সবুজের মাঝে সাদা আর বেগুনি রঙের শোভায় দৃষ্টি কারছে পথচারী ও প্রকৃতি প্রেমিদের। অনেকে স্বযত্নে ছবি তুলছেন। অযত্নে অবহেলায় প্রকৃতিগতভাবে বেড়ে ওঠা কচুরিপানার ফুলে মুগ্ধ করে অনেককেই। কচুরিপানা বর্ষায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ভেসে এসে ডুবা, জলাশয় এবং রাস্তা দু'পাশে জায়গা করে নেয়। এই কচুরিপানা মূলত বেড়ে উঠে অযত্নে অবহেলায়। তার মাঝে ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য্য মানুষ মন জুড়ায়। এই ফুলের রূপ দূর থেকে চোখে ভেসে আসে। ছোট ছোট বদ্ধ জলাশয়ে রাস্তার দুইপাশে জলাশয়ে ফুটা কচুরিপানার ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় অনেকেই। এলাকাবাসী ও ফুল পিপাসিরা বলেন, খাল, বিল, পুকুর, ডুবা থেকে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে আর অল্প পানিতে ব্যাপক হারে জন্মে কচুরিপানা। আর এসব কচুরিপানায় এখন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে যা দেখতে মনোরম। 

পথচারী নাজমুল হাসান জানান, গাড়ি দিয়ে যেতে আসতে রাস্তার দুইপাশে ডুবায় ফুটে থাকা কচুরিপানার ফুল দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। ছোট ছোট বাচ্চারা ফুল ছিড়ে খেলা করে। আবার বাড়িতেও নিয়ে যায় অনেকে। 

শিক্ষার্থী ফেরদৌস আরা জানান, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় কচুরিপানার ফুল দেখতে খুব সুন্দর লাগে। মাঝে মাঝে এই ফুল ছিড়ে বান্ধবীদের উপহার দেই। আবার অনেক সময় বাড়িতে নিয়ে ভাই বোনদের উপহার দিলে তারা খুশি হয়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা বলেন, কচুরিপানা কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিকভাবে এসব কচুরিপানা সংরক্ষণ করে জৈবসার তৈরি করা যায়। বর্ষায় ঘাসের পরিবর্তে গু-খাদ্য হিসাবে কচুরিপানা ব্যবহার করা হয়। আবার বর্তমান কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করে পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাশয়ে কচুরিপানার ফুল ফুটতে শুরু করেছে। যা দেখে অনেকেই বিমোহিত হচ্ছেন এবং মানুষের মাঝে মুগ্ধতা চড়াচ্ছে।

এই সম্পর্কিত আরো