সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, জনগণ আজ বহুকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য উন্মুখ। অথচ একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে জনগণকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, গণতন্ত্রের বিরোধীরা আর কখনো জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারবে না।
সোমবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুলে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে একটি নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে এবং খুব শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, তার নেতৃত্বেই দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে মৌলিক পরিবর্তন আসবে।
কাইয়ুম চৌধুরী দৃঢ়ভাবে বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণই দেশের প্রকৃত মালিক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই তারেক রহমান রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা পালানোর পথ খুঁজবে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস স্মরণ করে তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলেই আধুনিক ভ্যাট পদ্ধতি চালু হয়েছিল, যা জাতীয় অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে তা অক্ষুন্ন রেখেছিলেন। অথচ বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার দুর্নীতি, লুটপাট এবং লোক দেখানো মেগা প্রকল্পের নামে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, লুটপাট ও দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণ শিগগিরই একটি ইতিবাচক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী দাবি করেন, আদালতে তারেক রহমান সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। একইসাথে তিনি অভিযোগ করেন, খুনী হাসিনা বিদেশে পালিয়েও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন।
এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান সুয়েব, বদরুল ইসলাম জয়দু, ডা. এনামুল হক, সহ সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, আবুল হাসনাত, জামাল মেম্বার, আজমল আলী, আব্দুল মালিক মল্লিক, আফরোজ আলী, ময়নুল ইসলাম মঞ্জু, পাবেল রহমান, সাদেক আহমদ, নুরুল ইসলাম, রায়হানুল হক, লুৎফর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।