মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গ্যারেজ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চুরি করে পালানোর সময় দুই চোরকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে স্থানীয় জনতা। এসময় জনতার পিটুনিতে সুমন আহমদ (২৫) নামের এক চোর নিহত হয়েছে। সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডিমাই ওসমানীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে গণপিটুনিতে আহত জাহাঙ্গীর আলম (৩১) নামের অপর চোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার সময় কৌশলে আরও দুই চোর পালিয়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নিহত সুমন আহমদ সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হারিছ আলীর ছেলে এবং আহত জাহাঙ্গীর আলম মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার সুড়িখাল গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। বড়লেখা থানা পুলিশ নিহত সুমন আহমদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে অজ্ঞাত চোরেরা বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিওসি কেছরিগুল গ্রামের স্বপন আহমদ খানের গ্যারেজে থাকা ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা হতে ৩টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চুরি করে চার চোর। স্বপন আহমদ খান চুরির ঘটনাটি টের পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে এলাকাবাসী বেরিয়ে ধাওয়া করে ডিমাই ওসমানীবাজার এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করেন। এসময় অপর দুই চোর পালিয়ে বেঁচে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে মুমূর্ষু দুইজনকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, ‘সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা দুই চোরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’