সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ধর্ষণ মামলায় ডা. কিবরিয়া খানকে (৩২) শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ। তিনি ধর্মপাশা উপজেলা হাসপাতালের সামনে অবস্থিত স্বর্ণা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত।
জানা গেছে, মুকিমপুর বৌলাম, পাইকুরাটি ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা ডা. কিবরিয়া খানের বিরুদ্ধে পরকীয়া ও ধর্ষণের অভিযোগে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তার স্বামী প্রবাসী। তিনি তার বাবার এলাকার বৌলাম গ্রামে আমিরুল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকেন। শারীরিক সমস্যার জন্য তিনি স্বর্ণা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. কিবরিয়া খানের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। চিকিৎসার একপর্যায়ে ডা. কিবরিয়া খানের সঙ্গে তার ফোনে আলাপচারিতা শুরু হয় এবং তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ডা. কিবরিয়া খান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার বাসায় গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী আরও জানান, তিনি ডা. কিবরিয়া খানকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে বললেও, তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বারবার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট রাত ২টায় ডা. কিবরিয়া খান পুনরায় তার বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন যে, বিষয়টি আপোস-মীমাংসার চেষ্টা এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানিয়েছেন, আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।