জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী (৫২) হত্যার ঘটনায় খুনিদের বিচারের দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ব্লকেড করেছে বড়মোহা দারুল উলুম ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী। এই কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার শত শত মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় তাঁরা রাস্তার দুপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে সিলেট -সুনামগঞ্জ সড়কে অবরোধ করে রাখেন।
রবিবার বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এ ব্লকেড কর্মসূচি চলে। দুই ঘন্টা ব্যাপি ব্লকেডে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা।
এ সময় সুনামগঞ্জ - ৩ আসনের জমিয়ত প্রার্থী মাওলানা হাম্মাদ আহমেদ গাজিনগরী বলেন, মোস্তাক আহমদ গাজিনগরী একজন সুপরিচিত আলেম। তাকে গুম করে হত্যার ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। পুলিশ প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিলেও খুনিদের গ্রেফতার করছেনা। আমরা প্রশাসনের আশ্বাসে এখন আর বিশ্বাসী হতে পারছিনা। আগামীকাল সুর্যোদয়ের আগে খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী বলেন, মুশতাক গাজিনগরীকে গুম করার পর হত্যা করে নদীতে ফেলা হয়। প্রশাসন খুনিদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসন বার বার আশ্বাস দেয় কিন্তু খুনিরা গ্রেফতার হয়না। এমন টালবাহানা বরদাশত করা হবেনা। আসল সত্য হলো খুনিদের ধরতে পুলিশ গরিমসি করছে। মোস্তাকের খুনি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। তবুও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার না হলে আমরা আগামিতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মুশতাক গাজিনগরীর লাশ পাওয়ার পর খুনিদের ধরতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এ দেশে একজন আলেমও নিরাপদ নয়।
লন্ডন জমিয়তের প্রচার সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ -৪ আসনের প্রার্থী মাওলানা মুখলেছুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। একজন নিরপরাধ আলেমকে খুন করা হলো অথচ পুলিশ খুনিদের গ্রেফতার করতে পারছেনা। খুনিদের বিচার না হলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটতেই থাকবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিরপরাধ মানুষকে খুনের জন্য হয়নি।