সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় শ্রীপুর রাংপানি এলাকায় গত শুক্রবার বিকেলে দুই পর্যটককে চাকু ধরে ডাকাতির ঘটনায় আটক চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে শ্রীপুর রাংপানি এলাকায় বেড়াতে আসেন নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার উদয়শ্রি গ্রামের সোহেল রানা (৪৫) ও তার সাথে থাকা সফরসঙ্গী ওয়াজিব উল হক।
ওইদিন বিকেল ৪:০০ ঘটিকায় রাংপানি স্পট থেকে ফিরার পথে জনৈক এক ব্যাক্তি তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তাদের সামনে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে এমন ভুল তথ্য দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যএক রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়।
এ সময় কিছু দূর যেতে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলে পিছন দিক থেকে আরো একজন এসে দুইজন তাদের গলায় ধারালো চাকু চেপে ধরে। পরে আরো তিন ডাকাত এসে তাদের চিৎকার করলে মেরে ফেলার ভয় দেখায় এবং তাদের সাথে থাকা ট্রাভেল বেগ থেকে ডিএসএলআর ক্যামেরা, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগত ১৯৪০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে শুক্রবার রাতে ভিকটিম সোহেল রানা জৈন্তাপুর মডেল থানায় এসে অজ্ঞাতনামীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তাৎক্ষণিক পুলিশ ফোর্স প্রেরণ করে অভিযান পরিচালিত করেন। এ সময় অভিযানকারী পুলিশ ফোর্স আনুমানিক ৫ ঘন্টা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে শনিবার গভীর রাত আনুমানিক ২:৩০ মিনিটে উপজেলার কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী এলাকায় একটি বাড়িতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে চার জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃতরা হলেন কেন্দ্রী ঝিঙাবাড়ী গ্রামের মৃত কবির আহমেদের পুত্র নুর মোহাম্মদ রনি (৪২), আদর্শগ্রাম নয়াবস্তি এলাকার আশরাফ উদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম কিলটন (২০), কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র আবদুল মালেক মালু (২৭) ও আসামপাড়া আশ্রয়ণ এলাকার ফখরুল ইসলামের পুত্র সুমন আহমেদ (২৭)।
এ সময় তাদের সাথে থাকা দুইটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামি নুর মোহাম্মদ রনির জামাতার বাড়ী থেকে লুট হওয়া ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ও একটি ব্লটুথ হেডফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ভিকটিম সোহেল রানার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ডাকাতদের ধরতে অভিযানে নামে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতির ঘটনায় বাংলাদেশ পেনাল কোড ৩৯৫, ৩৯৭ এর ধারায় মামলা দায়ের করেছে। আটক চার আসামিকে শনিবার পুলিশ পাহারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করেন। পলাতক অন্য আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।