রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি, তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, কোনো শক্তি ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণর ফেডারেশন ৩৮ নং ওয়ার্ডের জনশক্তি সমাবেশ সম্পন্ন বড়লেখায় কলেজ শিক্ষর্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সালমান শাহ - মৃত্যুর ২৯ বছর পরও যিনি তুমুল জনপ্রিয়, আজও ফ্যাশন আইকন ছেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটার, বাবা করেন গার্ডের চাকরি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কুলাউড়ায় উপজেলা প্রশাসনের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন সিলেটে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ সুনামগঞ্জে মৎস্য উপদেষ্টার হাওর পরিদর্শন,  ৫ জেলে আটক
advertisement
সিলেট বিভাগ

সাদাপাথর লুট: মামলায় অভিযুক্ত প্রভাবশালীরা অধরা!

সাদা পাথর নজিরবিহীন লুটপাটের ঘটনায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।পর্যটন ও পরিবেশ বিধ্বংসী এমন কর্মকাণ্ডে হতাশ পর্যটকরাও। সাদাপাথর হরিলুটের ঘটনা গণমাধ্যম নজরে আনার চেষ্টা করলে প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি।যদিও পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে জেলা প্রশাসনের জরুরী বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত নেয়। তন্মধ্যে অনেকটা হাকডাক করে যৌথবাহিনীর অভিযানে পাথর উদ্ধার করে প্রতিস্থাপন হয় সাদাপাথরে। পাথর লুটের ধাক্কায় ওএসডি হয়ে সিলেট ছাড়েন জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। তার সঙ্গে বদলী হন কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এবং থানার আরো ১১ পুলিশ।

লুটপাটের ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে, একাধিক তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। কিন্তু মামলায় অভিযুক্তরা যেমন অধরা, তেমনি প্রকাশ করা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদনও। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনেও ওঠে এসেছে অনেকের নাম। এবার প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করে আইনি পদক্ষেপ প্রস্তাবনার অনুমোদন দিয়েছে দুদক সদর দপ্তর। 


অপরদিকে সমালোচনারমুখে এবং আদালতের নির্দেশে লুণ্ঠিত সাদাপাথর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ ঘনফুট সাদাপাথর। এরমধ্যে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে ১৬ লাখ ঘনফুট। এই ইস্যুতে অনেক ডাক ঢোল পেটানো হলেও সবই যেনো অন্তসার শূন্য। বুধবার পর্যন্ত কেবল লুন্ঠিত পাথর উদ্ধার ও প্রতিস্থাপনের ঘটনায় যেনো ঢাকা পড়েছে মামলার অগ্রগতি।

গত জুলাই ও আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটের ঘটনায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। আসামি ধরা হয়েছে হাতেগোনা কয়েকজন। মামলাগুলোর মধ্যে খনি ও খনিজ সম্পদ ব্যুরো থেকে ১৫০০ থেকে ২ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ পর্যন্ত এ মামলায় মাত্র ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগস্টে কোম্পানীগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে পাথরসহ ভলগেট আটকের ঘটনায়। পুলিশ বাদি হয়ে করা ওই মামলাটিতে আটক ৫ জন শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পাথর উদ্ধার ও জব্দ করার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে ১০জনকে আসামি করা আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলার সাক্ষি ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারি কর্মকর্তা (তহসীলদার)। তবে মামলায় কেবল একজন আসামিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এছাড়া বালু লুটপাটের ঘটনায় বনবিভাগের বিট অফিসার মাজহারুল হক বাদি হয়ে ২৭জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হলেও পেছনের প্রভাবশালীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া গত এক বছরে ভ্রাম্যমান আদালতের দায়ের করা ১৯ মামলায় কেবল অন্তত ৩শ’ শ্রমিকদের উপস্থিত সাজা ও  জরিমানা করা হলেও পাথর লুটের আলোচিতদের উল্লেখযোগ্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। কেবল যৌথবাহিনীর অভিযানে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকেও পুরাতন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রতন শেখ বলেন, 'আমি এখানে নতুন এসেছি। এখনো অফিসারদের নিয়েও বসতে পারিনি। মামলায় অভিযুক্ত যারা, তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাবো। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে আস্থা স্বরূপ তাকে পাঠিয়েছেন। তাদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করে যাবো।'

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিন মিয়া বলেন,  'এপর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ ঘনফুট সাদাপাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আর এপর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৮ লাখ ঘনফুট।

ভোলাগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাটের ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর- দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। লুট হওয়া পাথর উদ্ধার ও তা সাদাপাথরে পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। লুটের ঘটনা তদন্তে গঠিত হয় একাধিক কমিটি। আর এরই জেরে বদলি করা হয় সিলেটের জেলা প্রশাসক, কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।

 

আসামি দুই হাজার, ১৮ দিনে গ্রেফতার ১০

তবে লুটপাটের সাথে জড়িতরা এখন পর্যন্ত অধরাই থেকে যাচ্ছেন। লুটের ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট অজ্ঞতনামা ২ হাজার জনকে আসামি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও— এ পর্যন্ত মাত্র ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে লুটের সাথে জড়িত হিসেবে যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে, তাদের কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার অভিযানও অনেকটা স্থিমিত হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও পুলিশের দাবি, প্রতিদিনই অভিযান চলছে।

এই মামলার বাইরেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে সাদাপাথর লুটে সিলেটের কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিকসহ ৫৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের তদন্তে ১৩৭ জনের সম্পৃক্ততার বিষয় গণমাধ্যমে উঠে আসে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


সিলেটের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও সাদাপাথর লুটের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায় দুদক। তবে তিনজনকে বদলি করা ছাড়া প্রশাসনের কারো বিরুদ্ধেও এপর্যন্ত কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি সাদাপাথর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, লুটের ঘটনায় আইনি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তবে যাতে কোনো নিরীহ লোক হয়রানির শিকার না হন- সে ব্যাপারেও আমরা লক্ষ রাখছি। তাই সতর্কতার সাথে অভিযান চলছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাট হয়। তবে এক বছরে কী পরিমাণ লুটপাট হয়েছে- তার কোনো তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে। জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের দাবি, লুট হওয়া ৩০ শতাংশ পাথর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও স্থানীয়দের মতে, এক বছরে ২ থেকে ৩ কোটি ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে।

এদিকে লুটেরাদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ফের এমন ঘটনা ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবাদীরা। তাদের মতে, সিলেটে পাথর লুট নতুন কোনো ঘটনা নয়। সবসময়ই দেখা যায় পাথর লুট নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হলে- প্রশাসনে কিছুটা তোড়জোড় শুরু হয়। এরপর কিছুদিন পর তা স্থিমিত হয়ে যায়। তখন আবার লুটপাট শুরু হয়। তাই লুট বন্ধ করতে হলে, লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্তত শীর্ষ কয়েকজনের শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

 

দুই তদন্ত কমিটি, প্রতিবেদন অপ্রকাশিত:
সাদাপাথর লুট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত ১২ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক শেখ মাহবুব মুরাদ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসেন সিংহকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির দুই সদস্য ছিলেন কোম্পানীগঞ্জের বিদায়ী ইউএনও আজিজুন্নাহার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজালুল ইসলাম।

একমিটি গঠনের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। বিশেষত কমিটিতে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সাদাপাথর লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থতা ও লুটপাটকারীদের ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগ এই ইউএনওর বিরুদ্ধে। আর দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনেও পাথরলুটে তার সম্পৃক্ততা উঠে আসে। ২০ আগস্ট এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রদান করে। প্রতিবেদনে লুটপাটের জন্য অভিযুক্ত করে ১৩৭ জনের নাম  উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া লুটপাট বন্ধে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি। 

এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। 

গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীনকে। গত সপ্তাহে এ কমিটি সাদাপাথর পরিদর্শন ও সিলেট নগরে গণশুনানি করে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটি।

এছাড়া, সাদাপাথর লুটের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা লুটে সম্পৃক্ততায় ৫০ জনের নামে অভিযোগ পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর, সংরক্ষিত বাংকার এলাকা, ভোলাগঞ্জ কোয়ারি ও শাহ আরেফিন টিলা এলাকায় পাথর লুট 'ঠেকাতে না পারায়' ডিসি, ইউএনও ও ওসি সমালোচিত হন। সাদাপাথর থেকে সম্প্রতি অন্তত ৮০ শতাংশ পাথর লুট হওয়ায় তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বদলি করা হয়। তবে বদলির কারণ হিসেবে এসব উল্লেখ করা হয়নি।


দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে তোলপাড়: 
গত ১৩ আগস্ট ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পরিদর্শনে যান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ-এর নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের একটি দল। তারপর ধারাবাহিক অনুসন্ধান শেষে ১৬ আগস্ট প্রাথমিক প্রতিবেদন দুদক সদরদপ্তরে জমা দেয় জেলা কার্যালয়। প্রতিবেদনে পাথর লুটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানায় দুদক। প্রতিবেদনে পাথর লুটে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, মহানগর জামায়াতের আমির ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি, এনসিপির জেলা ও মহানগর সমন্বয়কসহ ৪২ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী সম্পৃক্ত বলে উল্লেখ করা হয়। এতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতারও নাম রয়েছে।এ ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিজিবিসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পাথর লুটের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।

এই প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সিলেটে শুরু হয় তোলপাড়। সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা লুটকাণ্ডে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে এই প্রতিবেদন নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে জামায়াত সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও এনসিপি স্মারকলিপি প্রদান করেছে। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেও দুদকের প্রতিবেদন নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।

সোমবার সিলেট সফরে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সাদাপাথর লুট নিয়ে দুদকের প্রতিবেদন সরকার গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। প্রতিবেদনটি সত্য প্রমাণিত হলে, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যদি তা অসত্য হয়, তবে দুদকের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

'পাথর ও বালু সরানো হচ্ছে ট্রাকে'
প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর পরও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে মজুত রাখা পাথর ও বালু রাতের আধারে সরানো হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। পাথর ও বালু ট্রাকে করে সিলেট বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক বাবর হোসেন।

২সেপ্টেম্বর রাত ১১ টা ৪২মিনিটি তিনি ফেসবুকে লেখেন- 'সিলেট বিমান বন্দর সড়ক দিয়ে বালু পাথর নিয়ে ট্রাক চলাচল আবার শুরু হলো, একজন ট্রাফিক অফিসার বললেন সব দৈনিকর অফিসে খবর নিতে।'

তার এই পোস্টে সিলেটের ডাকের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার ও কোম্পানীগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক শাব্বির আহমদ লেখেন- 'তে চললে অসুবিধা কিতা???'

যুগভেরীর সিনিয়র রিপোর্টার এম এ মালেক লিখেছেন- 'আস্তা ওয়ার্ল্ডে জানাইলিছইন ভাই।'

ফারুক আহমদ নামের আরেক সাংবাদিক লিখেছেন- 'মিডিয়া লাইন মেন্টেইন করা।'

এই সম্পর্কিত আরো

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি, তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, কোনো শক্তি ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণর ফেডারেশন ৩৮ নং ওয়ার্ডের জনশক্তি সমাবেশ সম্পন্ন

বড়লেখায় কলেজ শিক্ষর্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সালমান শাহ মৃত্যুর ২৯ বছর পরও যিনি তুমুল জনপ্রিয়, আজও ফ্যাশন আইকন

ছেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটার, বাবা করেন গার্ডের চাকরি

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন

কুলাউড়ায় উপজেলা প্রশাসনের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন

সিলেটে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

সুনামগঞ্জে মৎস্য উপদেষ্টার হাওর পরিদর্শন,  ৫ জেলে আটক