জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন- আলেমগণ সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। সমাজের মানুষ আলেম সমাজকে সবচেয়ে বেশী শ্রদ্ধা ও বিশ্বস করে। তাই আলেম-উলামাদেরকে সমাজের মূল নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে। জামায়াত দেশে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলামের মৌলিক প্রশ্নে আমরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ। সকল আলেম-উলামাগণ দেশে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মদীনার আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা সকল ইসলামী দল ও আলেমদের সারাজীবনের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সকল ইসলামী দলের ভোট এক বাক্সে দিতে পারলে দেশে ইসলামের জাগরণ কেই ঠেকাতে পারবেনা।
তিনি বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ঝেরঝেরীপাড়া জামেয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া দারুল হাদিস (টাইটেল মাদরাসা) সিলেট এর সম্মানিত শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সম্মানীত প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়খ মাহমুদ সোয়াইব, শায়খুল হাদীস মুফতি মুশাহিদ কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস খান, সিনিয়র মুহাদ্দিস ও ঝেরঝেরীপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী পূর্ব থানা জামায়াতের আমীর রফিকুল ইসলাম মজুমদার, ঝেরঝেরী জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুশফিক উস সামাদ চৌধুরী, প্রবীণ রুকন এখলাসুর রহমান, এভারগ্রীণ ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংস্থার আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মো: ফজলুল হক সোহেল প্রমূখ।
তিনি মাদ্রাসা শিক্ষকদের পাশাপাশি মাদ্রাসার সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেন। মাদ্রাসার যে কোন প্রয়োজনে পাশের থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।