সিলেটের ওসমানীনগরে বদলী হওয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ওসমানীনগরে যোগদান করছেন না। যোগদানের আগেই সমালোচনার মুখে বদলীর আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (০২ সেপ্টম্বর) দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-সচিব তাসনুভা নাশতারান স্বাক্ষরিত প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে এক আদেশে মোহাম্মদ আলীসহ ১১ জনের বদলীর আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২৮ আগস্ট এক অফিস আদেশে মোহাম্মদ আলীসহ ১১ জন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বদলীর আদেশ জারি হয়। সেই আদেশে পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীকে ওসমানীনগরে বদলী করা হয়। ফলে আগামী কাল বৃহস্পতিবার ওসমানীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদানের কথা ছিল মোহাম্মদ আলীর।
জানা গেছে, বিতর্কিত এই কর্মকর্তার যোগদানের আগেই তার অতিথ কর্মকান্ড নিয়ে সিলেটের ওসমানীনগরে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পিআইওর বদলীর আদেশটি বাতিল হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরিজীবনের শুরু থেকেই অভিযোগের পাহাড় বয়ে বেড়াচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বেপরোয়া কর্মকান্ড, অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তার পিছু ছাড়ছে না। একের পর এক অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পেয়ে নিয়মিত বদলি হয়ে নতুন-নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ২৮ আগস্টের অফিস আদেশে তাকে সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলায় পদায়ন করা হয়েছিল। সেই আদেশর পর আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয় উপজেলা জুড়ে।
স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি ও সেবাগ্রহীতা জানান, এ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত পিআইও ওসমানীনগরে পদায়ন হলে উপজেলার ভাবমূর্তি বিনষ্ট হত। তার বদলী বাতিল হয়েছে এটা আমাদের ওসমানীনগরবাসীর জন্য ভাল খবর। আমরা চাই নতুন এই উপজেলায় মানবিক কর্মকর্তারা যোগদান করেন। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের কাংখিত সেবা গ্রহন করতে পারেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বদলীর আদেশটি বাতিল হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন।