সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন স্পট থেকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সাদা খনিজ পাথর উদ্ধার করেছে র্যাব। রাজধানীর ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী সাতটি পাথরের আড়তে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক চল্লিশ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় র্যাব কাউকে আটক করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ সাদা পাথর নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর নিচে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে লোড-আনলোড করা হচ্ছে। এ খবর পেয়ে সন্ধ্যা থেকে ডেমরা সারুলিয়ার শুকুরসী ঘাট ও আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাত ৮টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালায় র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের আভিযানিক দল। এ সময় নদীর তীরবর্তী পাথর ব্যবসার সাতটি আড়তে সাদা পাথর বোঝাই ট্রাক দেখা যায়। পাথরগুলো বালু দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল। পরে আনুমানিক ৪০ হাজার ঘনফুট মূল্যবান আস্ত ও ক্রাশড সাদা পাথর উদ্ধার করে র্যাব।
অভিযান শেষে র্যাব-১১ এর ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ভোলাগঞ্জ এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর লুট করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রায় ৬ লাখ ঘনফুট বালু লুটপাট হয়েছে যার বাজারমূল্য প্রায় ২৪০ কোটি টাকা। ঘটনার পর থেকে লুট হওয়া এসব পাথর উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে র্যাব।
র্যাব-১১ এর ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘অবৈধভাবে উত্তোলিত এসব পাথরের অধিকাংশই মেশিনে ক্রাশ করে ছোটো করা হয়েছে। উত্তলনের পর এসব পাথর স্থানীয় দয়ার বাজার, কলাবাড়ি ও ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাটে জমা করে বিভিন্ন ক্রাশার মেশিনে পাঠানো হতো। এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে পরিবেশ অধিদফতরের বিধি অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে, অভিযান শুরু হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পাথরের আড়তগুলোর লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাই তাৎক্ষণিক কাউকে আটক করা যায়নি। তবে মালিকপক্ষের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র্যাব-১১ অধিনায়ক।