সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অডিটোরিয়ামজুড়ে ছিল এক বিশেষ আমেজ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) কলেজে অনুষ্ঠিত হলো ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ৬৩তম ব্যাচের নবাগত শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভা। রঙিন ব্যানার, প্রাণবন্ত উপস্থিতি আর অন্তরের উষ্ণতায় এই আয়োজনে নবীনদের বরণ করে নেয় কলেজ পরিবার।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটোয়ারী। নবাগতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই পেশা শুধু পেশা নয়—এটি এক মহান দায়িত্ব। চিকিৎসকের হাতে থাকে মানুষের ভরসা, দেশের ভবিষ্যৎ। সেই দায়িত্ব নিয়েই তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোকসানা আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির (পরিচালক, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদ। তাঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন—একজন ভালো চিকিৎসক হওয়ার মূল ভিত্তি হলো মানবিকতা, পেশাদারিত্ব ও অধ্যবসায়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য ছিল একেবারে পথপ্রদর্শক স্বর। তিনি বলেন, “সফল চিকিৎসক হতে হলে শুধু বই পড়লেই হবে না—সময়জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানুষকে বোঝার ক্ষমতাও অর্জন করতে হবে।”
নবাগত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা গর্বিত ও আনন্দিত এমন একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পেরে। তাদের প্রত্যয়—মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করা, চিকিৎসা পেশার মর্যাদা রক্ষা করা।
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী অংশ ছিল শেষ পর্বের এক পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ—বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। কলেজ চত্বরে ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে নবীনরা জানান, চিকিৎসা যেমন মানুষের প্রাণ রক্ষা করে, পরিবেশের সুরক্ষাও তেমনি ভবিষ্যৎকে রক্ষা করে। তাদের এই প্রতীকী অংশগ্রহণ জানিয়ে দিল, তারা শুধু ভালো ছাত্র নয়, বরং সচেতন নাগরিক হিসেবেও নিজেদের গড়ে তুলতে চায়।