সুনামগঞ্জ-১ এবং-২ আসনে পূর্বের ঘোষিত মনোনীত প্রার্থী রেখেই নতুন দুই প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এতে করে আনন্দের জোয়ার বইছে দুই প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুল হককে রেখে জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান কামরুল ও সুনামগঞ্জ-২ আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসির চৌধুরীকে রেখে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেলকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মনোনয়ন ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন কামরুজ্জামান কামরুল ও তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জিকে গৌছ সাংবাদিকদের বলেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে দলের দুইজন নেতাকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের সময় একজন প্রত্যাহার করবেন।
মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে আমার কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র নেয়া হয়। পরবর্তীতে আমাকে জানানো হয় আমি মনোনয়ন পেয়েছি। দল আমাকে মূল্যায়ন করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি। কারণ তাদের এই কান্না এই চাওয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রে পৌঁছেছে, যার ফলে আমাকে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।
অপর দিকে সুনামগঞ্জ-২ আসনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে এর জন্য আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এদিকে নতুন করে মনোনয়ন ঘোষণার পর পর আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কামরুল ও তাহির রায়হান চৌধুরীকে অভিবাদন জানান। তবে একটি আসনে একাধিক প্রার্থী ঘোষণাকে নির্বাচনে বিদ্রোহ ঠেকানোর নতুন কৌশল কিনা এ নিয়ে চুলছেড়া বিশ্লেষণ করছেন রাজনৈতিক সচেতন মহল।