আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির প্রথম সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন)। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও কর্মী-সমর্থকদের চাপে তিনি নির্বাচনে অবতীর্ণ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এই যাত্রায় দল থেকে পদত্যাগ বা বহিষ্কারের ঝুঁকি থাকলেও তিনি পিছপা হবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় মামুনুর রশিদ জানান, সিলেট-৫ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করবেন এবং ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়া প্রসঙ্গে চাকসু মামুন বলেন, “বিএনপি একটি বিশাল দল, তাদের অনেক দিক বিবেচনা করতে হয়। সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জোটের স্বার্থে অনেক সময় আসন ছেড়ে দিতে হয়। জোট সঙ্গীকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় আমার কোনো আফসোস নেই।”
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকের নাম ঘোষণা করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কার বা সাংগঠনিক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে মামুনুর রশিদ বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় দল যদি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে, তবে তারা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। আমি সেখানে বাধা দিতে পারি না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করব, তবুও আমাকে যারা ভালোবেসে নির্বাচনে নামিয়েছে, সেই কর্মী-সমর্থকদের নিরাশ করতে পারব না।”
গত ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রার্থী তালিকায় এই আসনের নাম স্থগিত রাখার পর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন ছিল আসনটি জোটকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও মামুনুর রশিদ মাঠ ছাড়েননি। তিনি নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ তাকে ঘিরেই নির্বাচনি প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছে।
সিলেট-৫ আসনে হেভিওয়েট এই নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা নির্বাচনি লড়াইকে এক নতুন মাত্রা দিল বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।