সিলেট নগরের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় নগরে। গত ২০ বছরে সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তবু সুফল মিলেনি।
এবার এই খাতে আবার বরাদ্দ পেল সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক)। সিসিকের ৪৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো উন্নয়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সিসিক।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশোধনের ফলে এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ও সরকারি অর্থায়নের অংশে কিছুটা হ্রাস আনা হয়েছে।
সিসিক সূত্র জানায়, ৪৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী, খাল ও ড্রেন খননের কাজ করা হবে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে যেসব ওয়ার্ডে পানির লাইন নষ্ট বা সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, সেখানেই অর্থ ব্যয় করা হবে। তবে নতুন করে কোনো ওয়ার্ডে পানির সংযোগ দেওয়া হবে না। অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণে প্রাধান্য দেওয়া হবে। নগরবাসীকে পুরোপুরি স্বস্তি দেওয়া সম্ভব না হলেও সাময়িক স্বস্তির লক্ষ্যেই এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকবর বলেন, ‘এই প্রকল্পটি আমরা অনেক আগেই মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। আজকে অনুমোদন পেল।’
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যেসব কাজ পরিকল্পনায় আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
একই সভায় এছাড়া ঢাকা কাঁচপুর থেকে সিলেট ও তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর অংশে চতুর্থবারের মতো মেয়াদ বৃদ্ধি অনুমোদন দেওয়া হয়।