সিলেটে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক শরীফ ওসমান হাদীর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাদ যোহর নগরীর কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে এই গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
গায়েবানা জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। তিনি নামাজ শেষে বলেন, যারা মনে করে এক হাদীকে হত্যা করলে জুলাই আন্দোলন নস্যাৎ করা যাবে, তারা ভুল জায়গায় আছেন। একজন হাদীকে হত্যার মধ্য দিয়ে লক্ষ হাদী এই বাংলাদেশে জন্ম নিবে। একইসাথে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ থাকাই হোক আজকের দিনের প্রত্যাশা। যেকোনো মূল্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেট জেলা জুলাই যোদ্ধা সংসদ’র উদ্যোগে আয়োজিত গায়েবানা জানাযার নামাজে তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ষড়যন্ত্র যাতে আর সংগঠিত হতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। আমরা চাই না, হাদীর মত আর কোনো নেতা এরকম ষড়যন্ত্রের শিকার হোক। বহুত হয়েছে, আমরা আর একটিবারও বরদাশত করব না। আমরা যেকোনো মূল্যে এটি প্রতিহত করব।
সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে ডিসি বলেন, আমরা এমন কিছু করব না যাতে মানুষের কষ্ট হয়, সম্পদ বিনষ্ট হয়, নিরীহ মানুষ কষ্ট পায়, রাষ্ট্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়, আমাদের ইমেজের ক্ষতি হয়।
কেউ দয়া করে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। সিলেট সম্প্রীতির শহর। যিনি অপরাধ করবেন তাকে শাস্তির আওতায় অবশ্যই আসতে হবে- বলেন মো. সারওয়ার আলম।
এতে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মুসল্লিরা৷ জানাজা শেষে ওসমান হাদীর রূহের মাগফিরাত কামনায় দোআ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, যে স্বপ্ন থেকে মানুষ মুক্তির আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, ৫ আগস্টের পর অনেক কিছুই দেখেছি। ওসমান হাদী আধিপত্যবাদ বিরোধী অকুতোভয় নেতা ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করতেন। ওসমান হাদীকে পরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী হত্যা করেছে। যে গোষ্ঠী নির্বাচন চায় না। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে শত শত হাদী এদেশে তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা৷