সিলেটে এক ব্যক্তিকে অপহরণ পরবর্তী বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে র্যাব-৯।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের একটি দল দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকা থেকে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হচ্ছেন, ভার্থখলা এলাকার নাজমুল হোসেনের ছেলে আহমদ হোসেন মাহিন (৩০) ও শরীয়তপুর জেলার নাড়িয়া থানার হালইসার এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুহেল আহমদ (২৪)।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে ভিকটিম সিলেট কোর্টে একটি মামলায় হাজিরা শেষে বিরতিহীন গাড়িযোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এসময় অপহরণকারীরা কদমতলী ওভার ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে রাস্তার উপর চলন্ত বাস গতিরোধ করে নোহা গাড়িতে ভিকটিমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। নোহায় তুলে তারা ভিকটিমের দুই চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে এবং দুই হাত পিছনের দিকে বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে শারিরীক নির্যাতন ও বেধড়ক মারপিট করে। পরে নির্যাতনের ভিডিও ভিকটিমের পরিবারের কাছে ভিডিও দিয়ে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এসময় ভিকটিম মোবাইল ফোনে তার বড় ভাই ও বোনকে অপহরণকারীদেরকে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয়ার জন্য বলেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্মীয় তাকে বাঁচানোর জন্য দাবিকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে পৃথকভাবে ৫ লাখ টাকা ও ৩ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রকে প্রদান করেন। অতঃপর অপহরণকারী গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের তালতলা এলাকায় ভিকটিমকে তার পিতা ও বোনের কাছে বুঝিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিম সিলেটের কানাইঘাট থানাধীন সোনারখেওড় এলাকার বাসিন্দা।