সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

রেমা কালেঙ্গায় বনদস্যুদের তাণ্ডব, গোলাগুলির ঘটনায় মামলা, আসামি ৫০ জন

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রেমা–কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনে গোলাগুলির ঘটনার পর সরকারি কাজে বাধা, সংঘবদ্ধভাবে অস্ত্রসহ অনধিকার প্রবেশ, অবৈধভাবে গাছ কাটা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রেমা বন বিটের বিট কর্মকর্তা আল আমিন বাদী হয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, নামীয় আসামিরা হলেন—পীরপুর গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র সুমন মিয়া (৩০), আব্দুল রহিমের পুত্র মো. শাহিন মিয়া (৩২), নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কাছম আলীর পুত্র মো. মানিক মিয়া (২৫), মো. শফিক মিয়া (২৭), মো. সাহিদ মিয়া (২৯), আমিরপুর গ্রামের সহিদ মিয়ার পুত্র মো. সুমন মিয়া (২৬), নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অজ্ঞাত পিতার পুত্র মো. মিশন মিয়া (২৭), মো. কাওসার আলম দুলাল (২৮), মো. পারভেজ মিয়া (২৮) এবং পীরপুর গ্রামের অজ্ঞাত পিতার পুত্র মিস্টার মোল্লা (৩৫)। তারা সকলেই চুনারুঘাট থানার ১০ নম্বর মিরাশী ইউনিয়নের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বন বিভাগের একটি টহল দল কালেঙ্গা বিট এলাকায় নিয়মিত টহলে বের হয়। দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে কালেঙ্গা রেঞ্জের নিশ্চিন্তপুর খোয়াইছড়া এলাকায় গাছ কাটার শব্দ পেয়ে টহল দল ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হয়। টর্চলাইট জ্বালিয়ে তারা আসামিদের গাছ কাটতে দেখতে পান।

এ সময় বন বিভাগের সদস্যরা বাধা দিলে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে এবং প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বন বিভাগের সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যান।

পরে বিজিবির সহায়তায় পুনরায় অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দেখা যায়, আসামিরা ১২টি সেগুন ও ৮টি আকাশমণি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সেগুন ও আকাশমণি গাছের মোট ৫৭ টুকরা গোলকাঠ উদ্ধার করা হয়, যার পরিমাণ ১১৬ দশমিক ২৯ ঘনফুট। উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।

চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সম্পর্কিত আরো