নবায়ন না থাকা, শর্তভঙ্গ এবং পরিবেশগত মানদণ্ড না মানার কারণে সিলেটে ১৩টি ডাগনস্টিক সেন্টারসহ ১৪ টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা জরিামানা করা হয়েছে। সিলেট নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থদণ্ড প্রদান করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নবায়নবিহীন, অবস্থানগত ছাড়পত্রবিহীন এবং ছাড়পত্রের শর্তভঙ্গের কারণে মোট ১৩টি ডায়গনস্টিক সেন্টার এবং ১টি রাইছ মিল থেকে ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগর ছাড়াও বিয়ানীবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা আরোপ করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়পত্রের বিধিনিষেধ মানছে কি-না তা যাচাই করতেই অধিদপ্তরের এই অভিযান কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বিয়ানীবাজার ডায়াবেটিকস সেন্টার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল, সিলেট নগরীর লামাবাজার এলাকার মেট্রো মেডিকেয়ার ক্লিনিক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মেসার্স সততা অটোসিদ্ধ রাইসমিল, জাউয়া বাজারের নিউ জনসেবা কম্পিউটারাইজড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিয়ানীবাজার উপজেলার নিউ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল, সিলেট মহানগরীর মধুশহীদ নিরাময় পলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তালতলা এলাকার পার্ক ভিউ হেলথ কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড, জিন্দাবাজার এলাকার সিলেট ডায়াবেটিকস অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, রিকাবীবাজার এলাকার দি মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, বিয়ানীবাজার উপজেলার দি মেডি এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিলেট মহানগরীর মধুশহীদ শাহজালাল হাসপাতাল, গার্ডেন টাওয়ারের ইস্টিমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড এবং জৈন্তাপুর উপজেলার দি জৈন্তা সেন্ট্রাল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন তদন্ত করেছি। নবায়ন না থাকা, শর্তভঙ্গ এবং পরিবেশগত মানদণ্ড না মানার কারণে যেসব ত্রুটি পাওয়া গেছে, তারই ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে। সরকারি আদেশ অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।