সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

জামালগঞ্জে বেড়েছে সিদ্ধ ডিমের কদর, বাড়তি আয় করছে অর্ধ সহস্রাধিক যুবক

জামালগঞ্জে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সিদ্ধ ডিমের চাহিদা। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তার মোড়, ফেরিঘাট—সব জায়গায় এখন জমজমাট সিদ্ধ ডিমের বেচাকেনা। আর এই মৌসুমী বাণিজ্যে যুক্ত হয়ে বাড়তি আয় করছে অর্ধ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, যুবক, দিনমজুর ও বয়োবৃদ্ধ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লেয়ার মুরগির ডিম স্থানীয় বাজার বা ফার্ম থেকে হালি ৫০ টাকায় কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এতে প্রতি হালিতে ৩০ টাকার লাভ। অন্যদিকে দেশি হাঁসের ডিম ৬০ টাকা দরে সংগ্রহ করে সিদ্ধ করে ১০০ টাকা হালিতে বিক্রি করে লাভ হচ্ছে ৪০ টাকা করে। এ কারণে লেয়ার ডিমের চেয়ে দেশি হাঁস-মুরগির ডিমের কদর শীতে আরও বাড়ছে।

সাচনা ফেরিঘাটে ছাত্র রাহিম উদ্দিন বলেন, “শীত শুরুর পর প্রতিদিন ৩০–৪০ হালি ডিম বিক্রি করতে পারি। এতে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভ হয়।”
জামালগঞ্জ বাজারের বিক্রেতা আসাদ উল্লাহ জানান, “হাঁসের ডিমের চাহিদা বেশি। প্রতিদিন ২০–৩০ হালি ডিম বিক্রি করতে পারি। ধনিয়াপাতা, কাচা মরিচ ও লবণের মিশ্রণ দিয়ে পরিবেশন করায় ক্রেতারা বেশি আসে।”

দশ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণভাবে ডিম বিক্রি করছেন সাচনা বাজারের বয়োবৃদ্ধ সামাদ মিয়া। তিনি বলেন, “আগে হাতে গোনা কয়েকজন ডিম বিক্রি করতাম। এখন শত শত লোক এই কাজে নেমেছে। তবুও বিক্রি কমে না—বরং বেড়েছে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আব্দুল বাতেন বলেন, “সিদ্ধ ডিম শীতকালে খুব উপকারী। দেশি হাঁস-মুরগির ডিমে পুষ্টিগুণ লেয়ারের চেয়ে বেশি। তবে অনেকেই বিট লবণ দিয়ে ডিম খান, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর—এটি পরিহার করা উচিত।”

জামালগঞ্জে শীত যত বাড়ছে, সিদ্ধ ডিমের বাজারও তত জমে উঠছে—যা স্থানীয় বহু মানুষের জন্য অস্থায়ী হলেও নির্ভরযোগ্য আয়ের দ্বার খুলে দিয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরো