সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে জামায়াতে ইসলাম মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শিশির মনির বলেছেন, বিজয়ী হলে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বীদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে একসঙ্গে কাজ করা হবে। বকাবকি বা শত্রুতা নয় আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূর হবে। আমরা চাই এমন বাংলাদেশ, যেখানে সকল পক্ষ মিলেই সিদ্ধান্ত নেবে।
শুক্রবার বিকেলে দিরাই থানা পয়েন্টে দিরাই-শাল্লা উন্নয়ন ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত যুব ও গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাওরাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওরের প্রাকৃতিক বৈচিত্র রক্ষা করে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি গ্রামের সঙ্গে অন্য গ্রামের সংযোগ নিশ্চিত করা হবে।
প্রবাসী নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে, যাতে মানুষকে আর প্রবাসে গিয়ে প্রতারিত হতে না হয়।
তিনি নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করে দিরাই-শাল্লাকে একটি “স্মার্ট এলাকা” হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দিরাই পৌর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল কদ্দুসের সভাপতিত্বে ও জামায়াত নেতা রেজাউল করিম ও সাংবাদিক ইমরান হোসাইন যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, ডাকসু'র কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা ও শাহিনুর রহমান, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা নুরুদ্দীন, সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আলম, শাল্লা উপজেলা জামায়াতের সভাপতি হাফিজ নুরুল আলম সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মেহেদী হাসান তুহিন, শিক্ষক পীযুষ চন্দ্র, ছাত্রনেতা পংকজ দাস, জুলাই যোদ্ধা ওবায়িদ ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দিরাই-শাল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিলসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেন।