সিলেটের ওসমানীনগরে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে স্বজনদের শ্লীলতাহানী ও ধারালো দায়ের আঘাতে শিক্ষার্থীর এক স্বজন বৃদ্ধা গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের থানাগাঁও (বেতখাই) গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে ভূক্তভূগী শিক্ষার্থী চার জনের নাম উল্যেখ করে মঙ্গলবার বিকালে ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উছমানপুর ইউনিয়নের রহিমা ফিরোজ শিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত কু- প্রস্থাব ও অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে উত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের জিলু মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া(২৬)।
কু-প্রস্থাবে রাজি না হলে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করে ওই শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রাসেল মিয়া। এসময় শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে ঘরে থাকা শিক্ষার্থীর পরিবারের ২ মহিলা স্বজনরা এগিয়ে এলে ও তাদের শরীরে থাকা কাপর টেনে ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে রাসেলসহ তার সহযোগী একই গ্রামের জুবেল মিয়া, কবির আহমদ, নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন।
ধস্থাধস্তির এক পর্যায়ে রাসেলসহ সহযোগীরা শিক্ষার্থীসহ তার স্বজনদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে রাসেল তার সহযোগীদের হাত থেকে ধাড়ালো দা দিয়ে বৃদ্ধার বাম পায়ের উরুতে আঘাত করলে তিনি গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হন।
এসময় তাদের সুর-চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তবে, এই ঘটনা থানা পুলিশকে না জানাতেও হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষা শেষে থানায় গিয়ে ৪ জনের নাম উল্যাখসহ আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনা করে ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মোনায়েম মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।