ইয়াবা বিক্রির ২ লাখ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামের খুটিতে বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছয়ফুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবককে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম হলেও প্রধান দুই অভিযুক্ত—সাকিল আহমদ ও তার সহযোগী সুমন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ছয়ফুলের স্বজনরা ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত সাকিল আহমদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা সাকিলের পিতা আব্দুল হান্নান হানাইকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় সীমান্তপথে চোরাইভাবে আনা ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে ছয়ফুল, সাকিল ও সুমনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। তারই জেরে রবিবার সন্ধ্যায় ছয়ফুলকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে এনে সাকিলের বাড়ির বারান্দার একটি খুঁটিতে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এরপর টাকা বণ্টন নিয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাকিল ও সুমন ধারালো দা দিয়ে তার মাথায় উপর্যুপরি কোপাতে থাকে।
গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা ছয়ফুলকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবার এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে হত্যাকারীদের গ্রেফতারে সীমান্ত এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। আটক সাকিলের পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করেছে, কাড়াবাল্লা, রাতাছড়া এবং আশপাশের সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ না থাকায় এসব এলাকায় নিয়মিত সংঘর্ষ, মারামারি এবং হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে।