শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
সেই সাংবাদিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা দিল ছাত্রশিবির মাফরুহীকে সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রশ্ন - ‘অনিয়ম থাকলে বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করতেন, আজ কেন’ জাকসু নির্বাচন কমিশনার মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগ ধনু নদে স্পিডবোট-নৌকার সংঘর্ষে ৪ শিশু নিখোঁজ জাকসুর ফল দ্রুত প্রকাশের দাবিতে রাজধানীতে শিবিরের বিক্ষোভ সরকারি ডাক্তারদের ৮ নির্দেশনা ‘নির্বাচন ঠেকানোর নতুন নতুন বয়ান সামনে আনা হচ্ছে’ জুলুমের পূর্ণ অবসান পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইকারীরা এক থাকবো: জামায়াত আমির শান্তিগঞ্জে জামায়াতের এমপি প্রার্থী এডভোকেট ইয়াসীন খানের ওয়ার্ড সভা কুলাউড়ায় লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের কমিটি গঠন
advertisement
সিলেট বিভাগ

কেউ ফিরেনি খালি হাতে

গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ 
বেশ চওড়া নীচ। খুবই সরু উপর। মাঝখানটা গোলাকৃতির। বাঁশের ফালি ও বেতের তৈরি বিশেষ এ ঝাঁঁপিই ‘পলো’। তা দিয়ে সম্মিলিত ভাবে মাছ ধরা উৎসবের পুরনো সংস্কৃতির নাম ‘পলো বাওয়া’ উৎসব। প্রতি বছর এ মৌসুমে ঘটা করে উৎসবটি পালিত হয় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি দক্ষিণের বিল বড়বিলে শত শত মানুষ মেতে উঠেন এ উৎসবে। গতকাল বুধবার উৎসবমুখরতায় অনুষ্ঠিত হয় পলো বাওয়া উৎসব। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিলের তীরে পলো আর মাছ ধারার নানা সরঞ্জজাম নিয়ে অপেক্ষমান ছেলে-বুড়োসহ শত শত সৌখিন মানুষ। পুরো বিল জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পরে সকাল ১০টায় কমিটির সায় পাওয়া মাত্রই প্রায় পাঁঁচ শতাধিক শিকারি একসাথে ঝাঁঁপিয়ে পড়েন বিলে। শুরু হয় মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। আনন্দ-উল্লাসে দুপুর পর্যন্ত চলে পলো বাওয়া। এসময় শিকারীদের কেউ কেউ টান দেন গানে, কেউবা মাছ ধরতে পেয়ে দেন উল্লাসে চিৎকার।
 
শিকারিদের পলো, উড়াল জাল, লাটি জাল, ঠেলা জালে ধরা পড়তে থাকে বোয়াল, শোল, গজার, ব্রিগেড, চিতল, রুই, কাতলা, কার্প, বাউশসহ নান প্রজাতির মাছ। এ দৃশ্য উপভোগ করতে গ্রামের নারী-শিশু থেকে শুরু করে সকলেই ভিড় করেন বিলের পাড়ে। এবার বিলে মাছের সংখ্যা বেশি। কম বেশি সবাইকে মাছ নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। 
গ্রামবাসি জানান, এটি তাদের দুইশত বছরের পুরো সংস্কৃতি। একে কেন্দ্র করে প্রতি বছর পূর্ব নির্ধারিত সময়ের কিছুদিন আগ থেকেই গ্রাম জুড়ে চলে উৎসবের আমেজ। যার যার মতো পলোসহ মাছ শিকারের নানা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নেন শিকারীরা। উৎসবের দিন সকাল থেকেই শুরু হয় হাঁকডাক ও হইহুল্লোড়। পরে সবাই ছুটেন বিলের পাড়ে। শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি ও শলাপরামর্শ শেষে কমিটির অনুমতি পাওয়া মাত্রই বিলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন শিকারীরা। এসময় উৎসব উপভোগ করতে তীরে অবস্থান নেন সকল বয়সি মানুষ। উৎসব করতে দেশে ফেরেন প্রবাসীরাও।

গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনোহর খান, মনোয়ার হোসাইন, জানান, কেবল পলো বাওয়া দেখতে এ সপ্তাহে দেশে এসেছেন তারা। উৎসবে যোগ দিতে পেরে খবুই ভালো লাগে।   

এ বিষয়ে কথা হলে আয়োজক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসাইন বলেন, পলো বাওয়া আমাদের পূর্ব পুরুষের পুরনো সংস্কৃতি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমরা এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। এ উৎসব আমাদের পুুরো গ্রামবাসির মধ্যে এক অন্যরকম আবেগ-অনুভূতি আর ভালোলাগা কাজ করে।      

এই সম্পর্কিত আরো

সেই সাংবাদিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা দিল ছাত্রশিবির

মাফরুহীকে সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রশ্ন ‘অনিয়ম থাকলে বৃহস্পতিবারই পদত্যাগ করতেন, আজ কেন’

জাকসু নির্বাচন কমিশনার মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগ

ধনু নদে স্পিডবোট-নৌকার সংঘর্ষে ৪ শিশু নিখোঁজ

জাকসুর ফল দ্রুত প্রকাশের দাবিতে রাজধানীতে শিবিরের বিক্ষোভ

সরকারি ডাক্তারদের ৮ নির্দেশনা

‘নির্বাচন ঠেকানোর নতুন নতুন বয়ান সামনে আনা হচ্ছে’

জুলুমের পূর্ণ অবসান পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইকারীরা এক থাকবো: জামায়াত আমির

শান্তিগঞ্জে জামায়াতের এমপি প্রার্থী এডভোকেট ইয়াসীন খানের ওয়ার্ড সভা

কুলাউড়ায় লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের কমিটি গঠন