সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
সিলেট-৬: হাইপ্রোফাইল ত্রিমুখী লড়াইয়ের উত্তাপ অ্যাডভোকেট জামানকে ধানের শীষের প্রার্থী চেয়ে উত্তাল জৈন্তাপুর শাহআরেফীন বাজারে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, জনতার হাতে অভিযুক্ত আটক গোয়াইনঘাটে অ্যাডভোকেট জামান - পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে যারা ভোট নিয়েছে, তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে সিলেটে দুদক চেয়ারম্যান - হাসিনার হলফনামায় কৃষি সম্পত্তি ৫.২ একর অনুসন্ধানে মিলে ২৯ একর মনগড়া মতবাদ সমাজে শান্তি ও সম্মান দিতে পারবে না: আমিরে জামায়াত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া জুলাই বিপ্লব নিয়ে বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সাথে কানাডা প্রবাসীর মতবিনিময় বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি গ্রাহকসেবা বন্ধ আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল
advertisement
সিলেট বিভাগ

নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ২৩টি ভবন শিগগিরই ভেঙে ফেলা হবে

সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প ও আফটারশকের ধাক্কায় আতঙ্ক বাড়ছে। কখনো ভারতের মেঘালয়ের ডাউকি ফল্ট থেকে, কখনো বা সিলেট বিভাগের ভেতর থেকে কম্পন অনুভূত হওয়ায় নগরবাসী উদ্বিগ্ন।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা স্থানীয় ফল্টগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।

সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সিলেট নগরীর ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই ভবনগুলোর অপসারণ কাজ শুরু হবে।


জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চিহ্নিত ভবনগুলোতে এখনো কেউ কেউ বসবাস করছে বা কাজ করছে। দ্রুত অপসারণ না করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নাগরিকদের সুরক্ষার জন্যই আমরা জরুরি ভিত্তিতে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন ইতোমধ্যে একাধিক ওয়ার্কশপ করেছে। তবে উদ্ধারকাজে প্রধান সমস্যা হচ্ছে সংকীর্ণ রাস্তা-ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে না পারলে রেসকিউ কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’

জানা যায়, ২০১৯ সালে কয়েকদফা ভূমিকম্পের পর ঝুঁকি মোকবেলায় সিলেট নগরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা, সব বহুতল ভবনের ভূমিকম্পসহনীয়তা পরীক্ষাসহ কিছু উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। এ সময়ে নগরের প্রায় ৪২ হাজার বহুতভবন পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। কিন্তু অর্থ সংকটে সেই উদ্যোগ আর এগোয়নি।
তবে অনেক পুরনো কয়েকটি ভবন বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষার পর নগরের ২৫ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রকাশ করে সিসিক।

ওইদিনই নগরের সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, মিতালী ম্যানশ্যান ও রাজা ম্যানশন নামের ৭টি বিপনী বিতানকে ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর নির্ধারিত ১০ দিন পর কোনো সংস্কার ছাড়াই খুলে দেওয়া হয় বন্ধ করা ভবনগুলো। এখনো এগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।

জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা চারটি ভবনকে অপসারণ এবং আরও দুইটি ভবনকে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সংস্কার করা হয়।

এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও বাকি স্থাপনাগুলোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সিসিক। এসব স্থাপনার মধ্যে বাসাবাড়ি, বিদ্যালয় এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। নগর প্রশাসনের এমন দুর্বলতাকে পুঁজি করে উল্টো খোলস পাল্টে ফেলা হয়েছে এসব স্থাপনার।

সিসিকের তালিকানুযায়ী, নগরীর ঝুঁকিপূর্ন ভবনগুলো হলো- কালেক্টরেট ভবন-৩, সমবায় ব্যাংক ভবন মার্কেট, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দর বাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেট, মিতালী ম্যানশন, দরগা গেইটের আজমীর হোটেল, মধুবন মার্কেট, কালাশীল এলাকার মান্নান ভিউ, শেখঘাটের শুভেচ্ছা-২২৬, চৌকিদেখী এলাকার ৫১/৩ সরকার ভবন।

যতরপুরের নবপুষ্প-২৬/এ, জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশন, পুরানলেন এলাকার ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গালের মেঘনা-এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ী এলাকার ওয়ারিছ মঞ্জিল একতা- ৩৭৭/৭, হোসেইন মঞ্জিল একতা- ৩৭৭/৮ ও শাহনাজ রিয়াজ ভিলা একতা- ৩৭৭/৯, বনকলাপাড়া এলাকার নূরানী-১৪, ধোপাদিঘী দক্ষিনপাড়ের পৌর বিপনী ও পৌর শপিং সেন্টার, এবং পূর্ব পীরমহল্লার লেচুবাগান এলাকার ৬২/বি- প্রভাতী, শ্রীধরা হাউস।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, সিলেটে যেকোনো সময় বড় ধরণের ভূমিকম্প হতে পারে। এতে ধ্বসে পড়তে পারে বেশিরভাগ বহুতল ভবন। তাই বহুতল ভবনগুলো ভেঙে ফেলা বা সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ও এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে সিলেটের অধিকাংশ স্থাপনাই উচ্চ মাত্রার ভূ-কম্পন সহ্য করতে সক্ষম নয়। সিলেট শহরে প্রায় ৪২ হাজার ভবন রয়েছে। এসবের বেশিরভাগই পুরনো ও দুর্বল, যেগুলো মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পেই ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সিলেট শহরে গড়ে উঠা প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভবন নির্মাণে যথাযথ বিধিমালা মানা হয়নি। ফলে ভূমিকম্প হলে এ অঞ্চলে বিপুল প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।’

অধ্যাপক মুশতাক বলেন, ‘পুরোপুরিভাবে ভূমিকম্প মোকাবেলা সম্ভব না করা গেলেও, আগে থেকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন এবং পদক্ষেপ নিলে এর তীব্র ক্ষয়ক্ষতি থেকে কিছুটা বাঁচা যাবে।’


এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘সিলেট মহানগরীতে যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো রয়েছে সেই ভবনগুলোর সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা খুব শীঘ্রই একটি পদক্ষেপ নেব। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে একটি কমিটি আছে, তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যে ভবনগুলোতে সংস্কার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা তাদের সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে আমাদের কাছে তাদের কাগজপত্রাদি দাখিল করবে, আমরা সেটা খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশনা দেব।’

এই সম্পর্কিত আরো

সিলেট-৬: হাইপ্রোফাইল ত্রিমুখী লড়াইয়ের উত্তাপ

অ্যাডভোকেট জামানকে ধানের শীষের প্রার্থী চেয়ে উত্তাল জৈন্তাপুর

শাহআরেফীন বাজারে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, জনতার হাতে অভিযুক্ত আটক

গোয়াইনঘাটে অ্যাডভোকেট জামান পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে যারা ভোট নিয়েছে, তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে

সিলেটে দুদক চেয়ারম্যান হাসিনার হলফনামায় কৃষি সম্পত্তি ৫.২ একর অনুসন্ধানে মিলে ২৯ একর

মনগড়া মতবাদ সমাজে শান্তি ও সম্মান দিতে পারবে না: আমিরে জামায়াত

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

জুলাই বিপ্লব নিয়ে বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সাথে কানাডা প্রবাসীর মতবিনিময়

বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি গ্রাহকসেবা বন্ধ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল