সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা সহ মোট প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকেরা। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন— তোফায়েল আহমদ, আব্দুল কাদির, সজল পাল, অ্যাডভোকেট শাহিনুর রহমান শাহিন, মুরসালিন আহমদ ও রতীন্দ্র তালুকদার।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাত ১টার দিকে ভীমখালী ইউনিয়নের ভীমখালী বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে লেগে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে অধিকাংশ দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, “আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। আগুনে ছয়টি দোকানসহ একটি ঘরও পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের (ভারপ্রাপ্ত) স্টেশন অফিসার বিজয় সিং বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সঠিক উৎস নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে তোফায়েল আহমদের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।