মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সন্তান শেখ মহসিন ৪৪তম বিসিএস(কারিগরি শিক্ষা) ক্যাডার পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে নিজ জেলা ও অঞ্চলের সুনাম বাড়ালেন। তাঁর এই গৌরবময় অর্জনে পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা গভীর আনন্দ ও গর্ব প্রকাশ করেছেন। শেখ মহসিন কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানাইটিকর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শেখ আত্তর আলীর ছেলে। শৈশব থেকেই ছিলেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও আত্মপ্রত্যয়ী। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিজ গ্রামের স্কুল কানাইটিকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তিনি ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তোলেন একজন দক্ষ শিক্ষক ও জ্ঞানসন্ধানী হিসেবে। দীর্ঘ প্রস্তুতি, দৃঢ় মনোবল ও পরিবারের অনুপ্রেরণায় সফলতা।
বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পেছনে ছিল দীর্ঘ দিনের অধ্যবসায় ও নিরলস পরিশ্রম।
শেখ মহসিন বলেন, বিসিএস আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। পড়াশোনা ও প্রস্তুতির পথে অনেক বাধা এসেছে, তবে আমি কখনও হাল ছাড়িনি। প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। পরিবারের উৎসাহ, শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা আর বন্ধুবান্ধবদের সমর্থন আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে। এটি কেবল আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি আমার বাবা-মা, শিক্ষক, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সহযোগিতার ফসল। আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া এ সাফল্য সম্ভব হতো না।
৪৪তম বিসিএসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ক্যাডারে মেধাবী তরুণ-তরুণীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ক্যাডার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা, যেখানে কর্মকর্তারা দেশের কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কুলাউড়ার এই তরুণের সাফল্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি হয়েছে আনন্দের পরিবেশ। কানাইটিকর গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মহসিনের অর্জন এখন গর্বের গল্প। স্থানীয় শিক্ষক, সামাজিক সংগঠন এবং তরুণ সমাজ তাঁর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে শুভকামনা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, শেখ মহসিন আমাদের এলাকার গর্ব। তাঁর এই সাফল্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে, বিশেষ করে যারা কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষায় আগ্রহী। কুলাউড়ার এই কৃতী তরুণের সাফল্য এখন আশপাশের এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সবাই আশা প্রকাশ করছেন, শেখ মহসিন ভবিষ্যতে তাঁর দায়িত্ব, মেধা ও সততার মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন।