শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

৭ নভেম্বর হয়ে উঠেছিল জনগণের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সোপান: অ্যাডভোকেট জামান

৭ই নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটের সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট নগরীর মিরাবাজার থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্রা পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সিলেট মহানগর বিএনপি’র সাবেক পরিবহণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুজ্জামান জোয়াহিরের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও শহীদ ওয়াসিম ব্রিগেড সিলেট’র সভাপতি আবু ইয়ামিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।

তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের ওপর দাঁড়িয়ে ৭ নভেম্বর হয়ে উঠেছিল জনগণের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সোপান। ৩ নভেম্বরের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান বন্দি হন। দেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর তরুণ সদস্য এবং সাধারণ জনগণ এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়। তারা কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের প্রয়োজনে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। এই বিপ্লব নিছক একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছিল না, এটি ছিল সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত জাগরণ। এই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

সামসুজ্জামান জামান বলেন, ৭ নভেম্বর কারাগারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে তাই জিয়াউর রহমান হয়ে ওঠেন দেশের মুকুটহীন সম্রাট। তার অসীম সাহস, প্রগাঢ় দেশপ্রেম, দূরদৃষ্টি, ন্যায়নিষ্ঠা এবং সত্যনিষ্ঠা তাকে রাজনৈতিক ময়দানের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতায় পরিণত করে। তিনি শুধু সময়ের বরপুত্রই ছিলেন না, বরং তিনি সময়কে তার কর্মের অধীন করে দেশের কালপ্রবাহকে এক যৌক্তিক ও সমৃদ্ধির পথে ধাবিত করেছিলেন।

জামান বলেন, মুক্তিলাভের পর জিয়াউর রহমান দেশকে এক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে তুলে এনেছিলেন। তার হাত ধরেই বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। 'খাল কাটা' কর্মসূচি, 'গ্রাম সরকার' ব্যবস্থা এবং নতুন শিল্পনীতি গ্রহণের মাধ্যমে তিনি কৃষি ও শিল্প খাতে নতুন জীবন সঞ্চার করেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করে। তিনি বৈদেশিক সম্পর্ক জোরদার করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নাছির উদ্দিন, রুজেল আহমদ চৌধুরী, হাজী আবুল কালাম, আব্দুর রকিব, দেওয়ান কামরান, সাজ্জাদুর রহমান সাজু, জামাল আহমদ, মুহিবুর রহমান মুহিব, ফয়সল আহমদ, ফারুক আহমদ, সায়েস্তাউর রহমান সানি, সৈয়দ সজিব প্রমুখ।

এছাড়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন। 

এই সম্পর্কিত আরো