গত দুইদিনে নবীগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া ২৫ টি অতিথি পাখি বালিহাস অবমুক্ত করেছে প্রশাসন। শীত মওসুমের আগমন উপলক্ষে সুদুর সাইবেরিয়া থেকে আসা নবীগঞ্জের হাওরে মধ্যে নিধন করেন একশ্রেণীর অসাধু পাখি শিকারীরা। প্রতি বছর হাওরাঞ্চলে অতিথি পাখিদের ব্যাপক আগমন হয়।
এসব অতিথি পাখি প্রতি বছরই অবাধে বিক্রি হয় নবীগঞ্জের হাট বাজার ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট গুলোতে। এবার শীতের আগমন বার্তা ও অতিথি পাখিদের আসার শুরু হয়েছে। তাই প্রথম অবস্থায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা তৎপরতা শুরু করেছেন। এর প্রেক্ষিতে মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়ে ২৫টি অতিথি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছেন। পাথি শিকারীদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। নবীগঞ্জের হাওর গুলোতে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছেন।
গতকাল সকালে সিলেট বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত বনরেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম ও হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালান। এসময় তারা পৌর এলাকার সালামতপুর ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দেবপাড়া বাজার থেকে ২১টি অতিথি পাখি বালিহাস উদ্ধার করে সালামতপুর বাইপাস রোডের পাশে একটি ডোবা প্রাঙ্গণে অবমুক্ত করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সিলেট মহাড়কের নবীগঞ্জের বুড়িনাও এলাকা থেকে আরও ৪টি অতিথি পাখি উদ্ধাার করে অব মুক্ত করা হয়। এসময় সময় পাখি শিকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বালিহাস পাখি অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মোঃ রুহুল আমিন, সিলেট বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত বনরেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম ও হবিগঞ্জ বন্য প্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন সহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।
পরে অবৈধভাবে পাখি শিকার ও বিক্রয়ের অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৮(২) ধারার অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুই জন পাখি শিকারীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত পাখি শিকারী হলেন নবীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব দেবপাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার পুত্র সজ্জাদ মিয়া ও নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাও গ্রামের এংরাজ মিয়ার পুত্র জয়নাল মিয়া।
পাখি শিকারী সাজ্জাদ মিয়া বলেন, আমরা মুল পাখি শিকারী নয়, আমরা হাওর থেকে অতিথি পাখি গুলো কিনে নিয়ে আসি। রাতে পাখি ধরে সকাল বেলা আমাদের কাছে বিক্রি করে। তিনি বলেন, আরও অনেক পাখি চলন্ত গাড়িতে বিক্রি করে ঢাকা ও সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়।
সিলেট বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত বনরেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন এধরণের অবৈধভাবে অতিথি পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। শীত মওসুমে আমাদের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। আমরা গত দুদিনে ২৫ অতিথি পাখি উদ্দার করে অবমুক্ত করেছি।