কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজার মহাসড়ক সংলগ্ন ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তায় একটি নোহা গাড়ী দীর্ঘক্ষণ দাড়ানো অবস্থায় দেখতে পান স্হানীয় কয়েক যুবক।একপর্যায়ে সন্দেহজনক হলে স্হানীয়রা পুলিশকে খবর দেন রবিবার সকাল
টহলরত পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ রতন শেখ, পিপিএম ও ঘঠনাস্হলে হাজির হয়ে কালো রঙের এক্সনোহা গাড়ীটি দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। স্হানীয় যুবকদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের উপস্থিতিতে গাড়ীর ভিতর সার্চ করলে বস্তাবন্দি অবস্থায় বিপুল পরিমাণ মদের বোতল দেখতে পান।
বিষয়টি নজরে এনে থানা পুলিশ প্রশাসন স্হানীয় ২ জন যুবকদের সাথে নিয়ে অভিযানের স্বাক্ষী হিসেবে নোহা গাড়ীসহ থানায় নিয়ে আসলে গাড়ী তল্লাশি করে ১৮৩০ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের মদসহ গাড়ি তালিকাভুক্ত করেন। তল্লাশি চলাকালে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি কারণ স্হানীয়দের কানাঘুষা আর রাস্তার নিরাপত্তাজনিত কারণে মাদককারবারীরা গাড়ি ফেলে সটকে পড়ে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ রতন শেখ, পিপিএম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নেয়ার পাশাপাশি স্হানীয় সংবাদকর্মী সহযোগিতা ও এলাকাবাসীর সামাজিক আন্দোলন জোরদারের আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, কোম্পানীগঞ্জের সীমান্ত এলাকা ছনবাড়ী নারাইপুর,ভোলাগঞ্জ, কালাইরাগ,উৎমা,দমদমা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রতিনিয়ত মাদকের ভয়াল আগ্রাসন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্হানীয় বেশিরভাগ যুবক ইয়াবা,বাহারি মদের অবৈধ ব্যবসায় জড়িত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে ফলাও হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশের জালে প্রায়ই ঢাকাগামী বাসসহ বিভিন্ন স্হানে অভিযানে মদ,ইয়াবা ব্যবসায়ী প সেবনকারীদের গ্রেফতার অব্যাহত তবুও তাদের দৌরাত্ম থামানো যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে সবুজ সিলেট এর পক্ষ থেকে সকল সীমান্ত জনপদে কে বা কারা মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ে জড়িত তাদের তালিকা প্রকাশে মাঠে কাজ করছে। শীঘ্রই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করণে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হবে নাম ঠিকানাসহ।