বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: ডা. তাহের বিএনপি কেন গণভোট নির্বাচনের দিনে চায়, জানালেন সালাহউদ্দিন সেন্টমার্টিন খুলছে ১ নভেম্বর, পর্যটকদের ১২ নির্দেশনা অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের অঙ্গীকার ওমর ফারুকের, চেম্বার নির্বাচনে ৪ নং ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গোয়াইনঘাটে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০ এখনই দেশে ফেরার পরিকল্পনা নেই হাসিনার, থাকবেন ভারতে: রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার নবীগঞ্জে ব্যবসায়ীর গাড়িতে ডাকাতি: চুনারুঘাটে র‌্যাবের অভিযানে দুই ডাকাত আটক শান্তিগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সিলেটে ঝাড়ফুঁক আর তাবিজের ছায়ায় মানসিক স্বাস্থ্য
advertisement
সিলেট বিভাগ

সাদিখাল দখলে প্রভাবশালী চক্র, অবৈধ টিকেট বানিজ্যের সাথে জড়িত যুবদল নেতা জাওয়াদ

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সাদি খালে চলছে অবৈধভাবে বড়শি ধরার নামে টিকিট বাণিজ্য। কোনো প্রকার সরকারি ইজারা ছাড়াই খাল দখল করে প্রতিদিন শতাধিক শিকারির কাছ থেকে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে একটি প্রভাবশালী চক্র—এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৮ সাল থেকে সাদি খাল উন্মুক্ত অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সাদিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নাম ব্যবহার করে খালটি দখলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন। বর্তমানে একই সমিতির ছত্রছায়ায় আরেকটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে বড়শি ধরার (ফিশিং) নামে টিকিট বিক্রি করে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ চক্রের সঙ্গে সাদিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি সুধাংশু দাস, সাধারণ সম্পাদক রণ দাসসহ সমিতির ছয় সদস্য জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া টিকিট বিক্রির সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী জাওয়াদের নামও যুক্ত হয়েছে। এমনকি বিক্রি হওয়া টিকিটের পেছনে তার নামও লেখা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী জাওয়াদ বলেন,আমি কোনো মৎস্যজীবী নই। টিকিট বিক্রির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মৎস্যজীবি সমিতি যদি টাকা নেয়, সেটা তাদের বিষয়।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসটিএম ফখর উদ্দিনও বলেন,আমি বড়শি বায়া যাইও না। এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

সমিতির সভাপতি সুধাংশু দাসও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমরা কোনো টিকিট বিক্রি করি না। কে করছে জানি না।

তবে সাধারণ সম্পাদক রণ দাস বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন,যারা বড়শি বাই, তাদের সুবিধার্থে আমরা ১০০ টাকা করে নেই। লিজের জন্য আবেদন করেছি, এখনো পাস হয়নি। আচ্ছা, ঠিক আছে—এখন থেকে টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দেব।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সরকারি মালিকানাধীন জলাশয় থেকে অনুমতি ছাড়া অর্থ আদায় করা রাজস্ব ফাঁকি ও দখলবাজির শামিল। তাদের মতে, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম অপরাধ। অথচ খাল দখল করে টাকা তোলা প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে দুঃসাহসিকভাবে চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে সাদিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা সীতল দত্ত বলেন,এ বছর খালটি ইজারা দেওয়া হয়নি। টিকিট বিক্রির কোনো প্রশ্নই আসে না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন,খালটি এ বছর ইজারা দেওয়া হয়নি। কেউ যদি অবৈধভাবে টিকিট বিক্রি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সম্পর্কিত আরো

জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: ডা. তাহের

বিএনপি কেন গণভোট নির্বাচনের দিনে চায়, জানালেন সালাহউদ্দিন

সেন্টমার্টিন খুলছে ১ নভেম্বর, পর্যটকদের ১২ নির্দেশনা

অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের অঙ্গীকার ওমর ফারুকের, চেম্বার নির্বাচনে ৪ নং ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

গোয়াইনঘাটে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

এখনই দেশে ফেরার পরিকল্পনা নেই হাসিনার, থাকবেন ভারতে: রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার

নবীগঞ্জে ব্যবসায়ীর গাড়িতে ডাকাতি: চুনারুঘাটে র‌্যাবের অভিযানে দুই ডাকাত আটক

শান্তিগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

সিলেটে ঝাড়ফুঁক আর তাবিজের ছায়ায় মানসিক স্বাস্থ্য