 
    
    
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৩২৩ টি কলেজের মধ্যে ৪টি কলেজ শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। আর পাসের হার শতভাগ মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠানে।
সিলেট বোর্ডে এবার পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। বিভাগটিতে এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুইই কমেছে। দীর্ঘ ৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয় এবারের পরীক্ষা। ২০০৫ সালের পর এটি সিলেটের সর্বনিম্ন পাসের হার।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৯ হাজার ১৭২ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৭১ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল প্রকাশ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
বিভাগভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ৮৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, এর মধ্যে পাস করেছে ৯ হাজার ৭৯২ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ জন।
মানবিক বিভাগে ৪৭ হাজার ১৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২১ হাজার ৪৯৭ জন, যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫৩ জন।
বাণিজ্য বিভাগে অংশ নেয় ৯ হাজার ২৭২ জন, এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৭০ জন।
এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে শতভাগ ফেল করেছে ৪টি প্রতিষ্ঠান। এবছর ফলাফল ঘিরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উচ্ছাস দেখা যায় নি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে ফলাফলে এ ধস নেমেছে। পাশাপাশি ৫ আগস্টের পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনিয়মিত থাকা, শিক্ষক সংকট এবং মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবও এ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।