এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান দুই দলই হংকংয়ের মতো সহজ প্রতিপক্ষ পেয়ে জয় দিয়ে মিশন শুরু করে। তবে হংকংয়ের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে জয় পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আফগানরা।
আফগানিস্তান ১৮৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে, হংকংকে ৯৪ রানে অলআউট করে ৯৪ রানের দাপুটে জয় পায়। অন্যদিকে গতকাল বাংলাদেশ হংকংয়ের বিপক্ষে ১৪৪ রানের টার্গেট তাড়ায় জয় পেলেও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এ করণেই বাংলাদেশের চেয়ে আফগানদের এগিয়ে রাখছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ।
আফগানিস্তানকে ফেভারিট মানার পেছনে দলটির ম্যাচ উইনার বেশি থাকাকেই কারণ বলছেন শেহজাদ। রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, গাজানফার, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নূর আহমেদ কিংবা ফজলহক ফারুকি- আফগানিস্তানের স্কোয়াডে প্রত্যেকেই একেকজন ম্যাচ উইনার। যেকোন পরিস্থিতিতে তাদের সবাই একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে।
জিও নিউজের ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের প্রশংসা করতে গিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার বলেন, ‘আফগানিস্তান দলে অনেক বেশি ম্যাচ উইনার আছে। আপনি যদি বাংলাদেশের স্কোয়াডের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন তাদের এত বেশি ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় কিংবা ম্যাচ উইনার নেই।’
আফগানিস্তানের উত্থানের পেছনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) যে বড় অবদান আছে সেই বিষয়টা সামনে এনেছেন শেহজাদ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের চাহিদা বেড়েছে। আইপিএলের গত আসরে ওমরজাই, রশিদ, নূর, সেদিকউল্লাহ অটল, ফারুকির মতো ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন।
শেহজাদ বলেন, ‘এখানে তাদের (আফগানিস্তান) খেলোয়াড়দের বড় একটা কৃতিত্ব আছে। আবার তাদের অনেক খেলোয়াড়ই আইপিএলে খেলে, অনেক কিছু শেখার সুযোগ পায়। তারা এসে আবার তরুণদের মধ্যে সেটা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের সিনিয়ররা ভালো ছিল, দল বানানোর চেষ্টা করেছে। আর খেলোয়াড়রা এখন নিজেরা অবকাঠামো গড়ে তুলেছে।’
শেহজাদ আরও বলেন, ‘তাদের খেলোয়াড়রা প্রচুর পরিশ্রম করে, একজন আরেকজনের কথা শোনে। আফগানিস্তানকে ওপরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা সবাই মিলে পরিশ্রম করেছে। অনেক কিছুই ভালো করেছে এজন্য আফগানিস্তানকে অন্য সব সহযোগী দলের চেয়ে ভালো মনে হয়। এমনকি আমরা যেভাবে আলোচনা করছি বাংলাদেশের চেয়েও ভালো মনে হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। তার আগে আগামীকাল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। লংকানদের বিপক্ষে জয় পেলে আফগান ম্যাচের আগেই এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে টাইগারদের। তবে কাল হেরে গেলে আফগান ম্যাচটি লিটন দাসদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পরিণত হবে। সেই ম্যাচে হেরে গেলে সুপার ফোরের আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।